75

আল-ক্বিয়ামাহ

আয়াত সংখ্যা 40

0.00

2:22

لَاۤ اُقۡسِمُ بِیَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ ۙ﴿۱﴾

আমি কসম করছি কিয়ামতের দিনের!


وَ لَاۤ اُقۡسِمُ بِالنَّفۡسِ اللَّوَّامَۃِ ؕ﴿۲﴾

আমি আরো কসম করছি আত্ম-ভৎর্সনাকারী আত্মার!


اَیَحۡسَبُ الۡاِنۡسَانُ اَلَّنۡ نَّجۡمَعَ عِظَامَہٗ ؕ﴿۳﴾

মানুষ কি মনে করে যে, আমি কখনই তার অস্থিসমূহ একত্র করব না?


بَلٰی قٰدِرِیۡنَ عَلٰۤی اَنۡ نُّسَوِّیَ بَنَانَہٗ ﴿۴﴾

হ্যাঁ, আমি তার আংগুলের অগ্রভাগসমূহও পুনর্বিন্যস্ত করতে সক্ষম।


بَلۡ یُرِیۡدُ الۡاِنۡسَانُ لِیَفۡجُرَ اَمَامَہٗ ۚ﴿۵﴾

বরং মানুষ চায় ভবিষ্যতেও পাপাচার করতে।


یَسۡـَٔلُ اَیَّانَ یَوۡمُ الۡقِیٰمَۃِ ؕ﴿۶﴾

সে প্রশ্ন করে, ‘কবে কিয়ামতের দিন’?


فَاِذَا بَرِقَ الۡبَصَرُ ۙ﴿۷﴾

যখন চক্ষু হতচকিত হবে।


وَ خَسَفَ الۡقَمَرُ ۙ﴿۸﴾

আর চাঁদ কিরণহীন হবে,


وَ جُمِعَ الشَّمۡسُ وَ الۡقَمَرُ ۙ﴿۹﴾

আর চাঁদ ও সূর্যকে একত্র করা হবে।


یَقُوۡلُ الۡاِنۡسَانُ یَوۡمَئِذٍ اَیۡنَ الۡمَفَرُّ ﴿ۚ۱۰﴾

সেদিন মানুষ বলবে, ‘পালাবার স্থান কোথায়’?


کَلَّا لَا وَزَرَ ﴿ؕ۱۱﴾

না, কোন আশ্রয়স্থল নেই।


اِلٰی رَبِّکَ یَوۡمَئِذِۣ الۡمُسۡتَقَرُّ ﴿ؕ۱۲﴾

ঠাঁই শুধু সেদিন তোমার রবের নিকট।


یُنَبَّؤُا الۡاِنۡسَانُ یَوۡمَئِذٍۭ بِمَا قَدَّمَ وَ اَخَّرَ ﴿ؕ۱۳﴾

সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে কী সে অগ্রে পাঠিয়েছিল এবং পশ্চাতে পাঠিয়েছিল।


بَلِ الۡاِنۡسَانُ عَلٰی نَفۡسِہٖ بَصِیۡرَۃٌ ﴿ۙ۱۴﴾

বরং মানুষ তার নিজের উপর দৃষ্টিমান।


وَّ لَوۡ اَلۡقٰی مَعَاذِیۡرَہٗ ﴿ؕ۱۵﴾

যদিও সে নানা অজুহাত পেশ করে থাকে।


لَا تُحَرِّکۡ بِہٖ لِسَانَکَ لِتَعۡجَلَ بِہٖ ﴿ؕ۱۶﴾

কুরআন তাড়াতাড়ি আয়ত্ত করার উদ্দেশ্যে তুমি তোমার জিহবাকে দ্রুত আন্দোলিত করো না।


اِنَّ عَلَیۡنَا جَمۡعَہٗ وَ قُرۡاٰنَہٗ ﴿ۚۖ۱۷﴾

নিশ্চয়ই এর সংরক্ষণ ও পাঠ আমার দায়িত্বে।


فَاِذَا قَرَاۡنٰہُ فَاتَّبِعۡ قُرۡاٰنَہٗ ﴿ۚ۱۸﴾

অতঃপর যখন আমি তা পাঠ করি তখন তুমি তার পাঠের অনুসরণ কর।


ثُمَّ اِنَّ عَلَیۡنَا بَیَانَہٗ ﴿ؕ۱۹﴾

তারপর তার বর্ণনার দায়িত্ব আমারই।


کَلَّا بَلۡ تُحِبُّوۡنَ الۡعَاجِلَۃَ ﴿ۙ۲۰﴾

কখনো না, বরং তোমরা দুনিয়ার জীবনকে ভালবাস।


وَ تَذَرُوۡنَ الۡاٰخِرَۃَ ﴿ؕ۲۱﴾

এবং আখিরাতকে উপেক্ষা কর।


وُجُوۡہٌ یَّوۡمَئِذٍ نَّاضِرَۃٌ ﴿ۙ۲۲﴾

সেদিন কোন কোন মুখমণ্ডল উজ্জ্বল হবে,


اِلٰی رَبِّہَا نَاظِرَۃٌ ﴿ۚ۲۳﴾

তাদের রবের প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপকারী।


وَ وُجُوۡہٌ یَّوۡمَئِذٍۭ بَاسِرَۃٌ ﴿ۙ۲۴﴾

আর সেদিন অনেক মুখমন্ডল হবে বিবর্ণ-বিষন্ন।


تَظُنُّ اَنۡ یُّفۡعَلَ بِہَا فَاقِرَۃٌ ﴿ؕ۲۵﴾

তারা ধারণা করবে যে, এক বিপর্যয় তাদের উপর আপতিত করা হবে।


کَلَّاۤ اِذَا بَلَغَتِ التَّرَاقِیَ ﴿ۙ۲۶﴾

কখনই না, যখন প্রাণ কণ্ঠাগত হবে।


وَ قِیۡلَ مَنۡ ٜ رَاقٍ ﴿ۙ۲۷﴾

আর বলা হবে, ‘কে তাকে বাঁচাবে’?


وَّ ظَنَّ اَنَّہُ الۡفِرَاقُ ﴿ۙ۲۸﴾

আর সে মনে করবে, এটিই বিদায়ক্ষণ।


وَ الۡتَفَّتِ السَّاقُ بِالسَّاقِ ﴿ۙ۲۹﴾

আর পায়ের গোছার সংগে পায়ের গোছা জড়িয়ে যাবে।


اِلٰی رَبِّکَ یَوۡمَئِذِۣ الۡمَسَاقُ ﴿ؕ٪۳۰﴾

সেদিন তোমার রবের কাছেই সকলকে হাঁকিয়ে নেয়া হবে।


فَلَا صَدَّقَ وَ لَا صَلّٰی ﴿ۙ۳۱﴾

সুতরাং সে বিশ্বাসও করেনি এবং সালাতও আদায় করেনি।


وَ لٰکِنۡ کَذَّبَ وَ تَوَلّٰی ﴿ۙ۳۲﴾

বরং সে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং ফিরে গিয়েছিল।


ثُمَّ ذَهَبَ اِلٰۤی اَهْلِہٖ یَتَمَطّٰی ﴿ؕ۳۳﴾

তারপর সে দম্ভভরে পরিবার-পরিজনের কাছে চলে গিয়েছিল।


اَوۡلٰی لَکَ فَاَوۡلٰی ﴿ۙ۳۴﴾

দুর্ভোগ তোমার জন্য এবং দুর্ভোগ!


ثُمَّ اَوۡلٰی لَکَ فَاَوۡلٰی ﴿ؕ۳۵﴾

তারপরও দুর্ভোগ তোমার জন্য এবং দুর্ভোগ!


اَیَحۡسَبُ الۡاِنۡسَانُ اَنۡ یُّتۡرَکَ سُدًی ﴿ؕ۳۶﴾

মানুষ কি মনে করে যে, তাকে এমনি ছেড়ে দেয়া হবে?


اَلَمۡ یَکُ نُطۡفَۃً مِّنۡ مَّنِیٍّ یُّمۡنٰی ﴿ۙ۳۷﴾

সে কি বীর্যের শুক্রবিন্দু ছিল না যা স্খলিত হয়?


ثُمَّ کَانَ عَلَقَۃً فَخَلَقَ فَسَوّٰی ﴿ۙ۳۸﴾

অতঃপর সে ‘আলাকায় পরিণত হয়। তারপর আল্লাহ তাকে সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন এবং সুবিন্যস্ত করেছেন।


فَجَعَلَ مِنۡہُ الزَّوۡجَیۡنِ الذَّکَرَ وَ الۡاُنۡثٰی ﴿ؕ۳۹﴾

অতঃপর তিনি তা থেকে সৃষ্টি করেন জোড়ায় জোড়ায় পুরুষ ও নারী।


اَلَیۡسَ ذٰلِکَ بِقٰدِرٍ عَلٰۤی اَنۡ یُّحۡیَِۧ الۡمَوۡتٰی ﴿٪۴۰﴾

তিনি কি মৃতদের জীবিত করতে সক্ষম নন?