لَاۤ اُقۡسِمُ بِہٰذَا الۡبَلَدِ ۙ﴿۱﴾
আমি কসম করছি এই নগরীর।
وَ اَنۡتَ حِلٌّۢ بِہٰذَا الۡبَلَدِ ۙ﴿۲﴾
আর তুমি এই নগরীতে মুক্ত।
وَ وَالِدٍ وَّ مَا وَلَدَ ۙ﴿۳﴾
কসম জনকের এবং যা সে জন্ম দেয়।
لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ فِیۡ کَبَدٍ ؕ﴿۴﴾
নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি কষ্ট- ক্লেশের মধ্যে।
اَیَحۡسَبُ اَنۡ لَّنۡ یَّقۡدِرَ عَلَیۡہِ اَحَدٌ ۘ﴿۵﴾
সে কি ধারণা করছে যে, কেউ কখনো তার উপর ক্ষমতাবান হবে না?
یَقُوۡلُ اَهْلَکۡتُ مَالًا لُّبَدًا ؕ﴿۶﴾
সে বলে, ‘আমি প্রচুর ধন-সম্পদ নিঃশেষ করেছি’।
اَیَحۡسَبُ اَنۡ لَّمۡ یَرَہٗۤ اَحَدٌ ؕ﴿۷﴾
সে কি ধারণা করছে যে, কেউ তাকে দেখেনি?
اَلَمۡ نَجۡعَلۡ لَّہٗ عَیۡنَیۡنِ ۙ﴿۸﴾
আমি কি তার জন্য দু’টি চোখ বানাইনি?
وَ لِسَانًا وَّ شَفَتَیۡنِ ۙ﴿۹﴾
আর একটি জিহবা ও দু’টি ঠোঁট?
وَ هَدَیۡنٰہُ النَّجۡدَیۡنِ ﴿ۚ۱۰﴾
আর আমি তাকে দু’টি পথ প্রদর্শন করেছি।
فَلَا اقۡتَحَمَ الۡعَقَبَۃَ ﴿۫ۖ۱۱﴾
তবে সে বন্ধুর গিরিপথটি অতিক্রম করতে সচেষ্ট হয়নি।
وَ مَاۤ اَدۡرٰىکَ مَا الۡعَقَبَۃُ ﴿ؕ۱۲﴾
আর কিসে তোমাকে জানাবে, বন্ধুর গিরিপথটি কি?
فَکُّ رَقَبَۃٍ ﴿ۙ۱
তা হচ্ছে, দাস মুক্তকরণ।
اَوۡ اِطۡعٰمٌ فِیۡ یَوۡمٍ ذِیۡ مَسۡغَبَۃٍ ﴿ۙ۱۴﴾
অথবা খাদ্য দান করা দুর্ভিক্ষের দিনে।
یَّتِیۡمًا ذَا مَقۡرَبَۃٍ ﴿ۙ۱۵﴾
ইয়াতীম আত্মীয়-স্বজনকে।
اَوۡ مِسۡکِیۡنًا ذَا مَتۡرَبَۃٍ ﴿ؕ۱۶﴾
অথবা ধূলি-মলিন মিসকীনকে।
ثُمَّ کَانَ مِنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ تَوَاصَوۡا بِالصَّبۡرِ وَ تَوَاصَوۡا بِالۡمَرۡحَمَۃِ ﴿ؕ۱۷﴾
অতঃপর সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়, যারা ঈমান এনেছে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় ধৈর্যধারণের, আর পরস্পরকে উপদেশ দেয় দয়া-অনুগ্রহের।
اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ الۡمَیۡمَنَۃِ ﴿ؕ۱۸﴾
তারাই সৌভাগ্যবান।
وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِاٰیٰتِنَا هُمۡ اَصۡحٰبُ الۡمَشۡـَٔمَۃِ ﴿ؕ۱۹﴾
আর যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে তারাই দুর্ভাগা।
عَلَیۡہِمۡ نَارٌ مُّؤۡصَدَۃٌ ﴿٪۲۰﴾
তাদের উপর থাকবে অবরুদ্ধ আগুন।