21

আল আম্বিয়া

আয়াত সংখ্যা 112

0.00

16:25

اِقۡتَرَبَ لِلنَّاسِ حِسَابُہُمۡ وَ هُمۡ فِیۡ غَفۡلَۃٍ مُّعۡرِضُوۡنَ ۚ﴿۱﴾

মানুষের হিসাব-কিতাবের সময় নিকটবর্তী ; অথচ তারা বেখবর হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ।


مَا یَاۡتِیۡہِمۡ مِّنۡ ذِکۡرٍ مِّنۡ رَّبِّہِمۡ مُّحۡدَثٍ اِلَّا اسۡتَمَعُوۡہُ وَ هُمۡ یَلۡعَبُوۡنَ ۙ﴿۲﴾

তাদের কাছে তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে যখনই কোন নতুন উপদেশ আসে, তারা তা খেলার ছলে শ্রবণ করে ।


لَاهِیَۃً قُلُوۡبُهُمۡ ؕ وَ اَسَرُّوا النَّجۡوَی ٭ۖ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا ٭ۖ هَلۡ هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُکُمۡ ۚ اَفَتَاۡتُوۡنَ السِّحۡرَ وَ اَنۡتُمۡ تُبۡصِرُوۡنَ ﴿۳﴾

তাদের অন্তর থাকে খেলায় মত্ত । যালিমরা গোপনে পরামর্শ করে, সে তো তোমাদেরই মত একজন মানুষ ; এমতাবস্থায় দেখে-শুনে তোমরা তার জাদুর কবলে কেন পড় ?


قٰلَ رَبِّیۡ یَعۡلَمُ الۡقَوۡلَ فِی السَّمَآءِ وَ الۡاَرۡضِ ۫ وَ هُوَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ ﴿۴﴾

পয়গম্বর বললেন নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সব কথাই আমার পালনকর্তা জানেন । তিনি সবকিছু শোনেন, সবকিছু জানেন ।


بَلۡ قَالُوۡۤا اَضۡغَاثُ اَحۡلَامٍۭ بَلِ افۡتَرٰىہُ بَلۡ هُوَ شَاعِرٌ ۚۖ فَلۡیَاۡتِنَا بِاٰیَۃٍ کَمَاۤ اُرۡسِلَ الۡاَوَّلُوۡنَ ﴿۵﴾

এছাড়া তারা আরও বলে অলীক স্বপ্ন ; না-সে মিথ্যা উদ্ভাবন করেছে, না সে একজন কবি । অতএব সে আমাদের কাছে কোন নিদর্শন আনয়ন করুক, যেমন নিদর্শনসমূহ আনয়ন করেছিলেন পূর্ববর্তীগণ ।


مَاۤ اٰمَنَتۡ قَبۡلَہُمۡ مِّنۡ قَرۡیَۃٍ اَهْکۡنٰہَا ۚ اَفَہُمۡ یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۶﴾

তাদের পূর্বে যেসব জনপদ আমি ধ্বংস করে দিয়েছি, তারা বিশ্বাস স্থাপন করেনি ; এখন এরা কি বিশ্বাস স্থাপন করবে ?


وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا قَبۡلَکَ اِلَّا رِجَالًا نُّوۡحِیۡۤ اِلَیۡہِمۡ فَسۡـَٔلُوۡۤا اَهْلَ الذِّکۡرِ اِنۡ کُنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۷﴾

আপনার পূর্বে আমি মানুষই প্রেরণ করেছি, যাদের কাছে আমি ওহী পাঠাতাম । অতএব তোমরা যদি না জান, তবে যারা স্মরণ রাখে,. তাদেরকে জিজ্ঞেস কর ।


وَ مَا جَعَلۡنٰہُمۡ جَسَدًا لَّا یَاۡکُلُوۡنَ الطَّعَامَ وَ مَا کَانُوۡا خٰلِدِیۡنَ ﴿۸﴾

আমি তাদেরকে এমন দেহবিশিষ্ট করিনি যে, তারা খাদ্য ভক্ষণ করত না এবং তারা চিরস্থায়ীও ছিল না ।


ثُمَّ صَدَقۡنٰہُمُ الۡوَعۡدَ فَاَنۡجَیۡنٰہُمۡ وَ مَنۡ نَّشَآءُ وَ اَهْلَکۡنَا الۡمُسۡرِفِیۡنَ ﴿۹﴾

অত:এব আমি তাদেরকে দেয়া আমার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করলাম । সুতরাং তাদেরকে এবং যাদেরকে ইচ্ছা বাঁচিয়ে দিলাম এবং ধ্বংস করে দিলাম সীমালংঘনকারীদেরকে ।


لَقَدۡ اَنۡزَلۡنَاۤ اِلَیۡکُمۡ کِتٰبًا فِیۡہِ ذِکۡرُکُمۡ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ ﴿٪۱۰﴾

আমি তোমাদের প্রতি একটি কিতাব অবতীর্ণ করেছি ; এতে তোমাদের জন্যে উপদেশ রয়েছে । তোমরা কি বোঝ না ?


وَ کَمۡ قَصَمۡنَا مِنۡ قَرۡیَۃٍ کَانَتۡ ظَالِمَۃً وَّ اَنۡشَاۡنَا بَعۡدَهَا قَوۡمًا اٰخَرِیۡنَ ﴿۱۱﴾

আমি কত জনপদের ধ্বংস সাধন করেছি যার অধিবাসীরা ছিল পাপী এবং তাদের পর সৃষ্টি করেছি অন্য জাতি ।


فَلَمَّاۤ اَحَسُّوۡا بَاۡسَنَاۤ اِذَا هُمۡ مِّنۡہَا یَرۡکُضُوۡنَ ﴿ؕ۱۲﴾

অত:পর যখন তারা আমার আযাবের কথা টের পেল, তখনই তারা সেখান থেকে পলায়ণ করতে লাগল ।


لَا تَرۡکُضُوۡا وَ ارۡجِعُوۡۤا اِلٰی مَاۤ اُتۡرِفۡتُمۡ فِیۡہِ وَ مَسٰکِنِکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تُسۡـَٔلُوۡنَ ﴿۱۳﴾

পলায়ণ করো না এবং ফিরে এস, যেখানে তোমরা বিলাসিতার মত্ত ছিলে ও তোমাদের আবাসগ্রহে ; সম্ভবত কেউ তোমাদেরকে জিজ্ঞেস করবে ।


قَالُوۡا یٰوَیۡلَنَاۤ اِنَّا کُنَّا ظٰلِمِیۡنَ ﴿۱۴﴾

তারা বলল : হায়, দূর্ভোগ আমাদের, আমরা অবশ্যই পাপী ছিলাম ।


فَمَا زَالَتۡ تِّلۡکَ دَعۡوٰىہُمۡ حَتّٰی جَعَلۡنٰہُمۡ حَصِیۡدًا خٰمِدِیۡنَ ﴿۱۵﴾

তাদের এই আর্তনাদ সব সময় ছিল, শেষ পর্যন্ত আমি তাদেরকে করে দিলাম যেন কর্তিত শস্য ও দির্বাপিত অগ্নি ।


وَ مَا خَلَقۡنَا السَّمَآءَ وَ الۡاَرۡضَ وَ مَا بَیۡنَہُمَا لٰعِبِیۡنَ ﴿۱۶﴾

আকাশ, পৃথিবী ও এতদুভয়ের মধ্যে যা আছে, তা আমি ত্রুীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি ।


لَوۡ اَرَدۡنَاۤ اَنۡ نَّتَّخِذَ لَہۡوًا لَّاتَّخَذۡنٰہُ مِنۡ لَّدُنَّاۤ ٭ۖ اِنۡ کُنَّا فٰعِلِیۡنَ ﴿۱۷﴾

আমি যদি ক্রীড়া-উপকরণ সৃষ্টি করতে চাইতাম তবে আমি আমার কাছে যা আছে তা দ্বারাই তা করতাম, যদি আমাকে করতে হতো ।


بَلۡ نَقۡذِفُ بِالۡحَقِّ عَلَی الۡبَاطِلِ فَیَدۡمَغُہٗ فَاِذَا هُوَ زَاهِقٌ ؕ وَ لَکُمُ الۡوَیۡلُ مِمَّا تَصِفُوۡنَ ﴿۱۸﴾

বরং আমি সত্যকে মিথ্যার উপর নিক্ষেপ করি ; অত:পর সত্য মিথ্যার মস্তক চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দেয়, অত:পর মিথ্যা তৎক্ষণাৎ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় । তোমরা যা বলছ, তার জন্যে তোমাদের দুর্ভোগ ।


وَ لَہٗ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ مَنۡ عِنۡدَہٗ لَا یَسۡتَکۡبِرُوۡنَ عَنۡ عِبَادَتِہٖ وَ لَا یَسۡتَحۡسِرُوۡنَ ﴿ۚ۱۹﴾

নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যারা আছে, তারা তাঁরই । আর যারা তাঁর সান্নিধ্যে আছে তারা তাঁর ইবাদতে অহংকার করে না এবং অলসতাও করে না ।


یُسَبِّحُوۡنَ الَّیۡلَ وَ النَّہَارَ لَا یَفۡتُرُوۡنَ ﴿۲۰﴾

তারা রাতদিন তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করে এবং ক্লান্ত হয় না ।


اَمِ اتَّخَذُوۡۤا اٰلِہَۃً مِّنَ الۡاَرۡضِ هُمۡ یُنۡشِرُوۡنَ ﴿۲۱﴾

তারা কি মৃত্তিকা দ্বারা তৈরি উপাস্য গ্রহণ করেছে, যে, তারা তাদেরকে জীবিত করবে ?


لَوۡ کَانَ فِیۡہِمَاۤ اٰلِہَۃٌ اِلَّا اللّٰہُ لَفَسَدَتَا ۚ فَسُبۡحٰنَ اللّٰہِ رَبِّ الۡعَرۡشِ عَمَّا یَصِفُوۡنَ ﴿۲۲﴾

যদি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য থাকত, তবে উভয়ের ধ্বংস হয়ে যেত । অতএব তারা যা বলে, তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ্ পবিত্র ।


لَا یُسۡـَٔلُ عَمَّا یَفۡعَلُ وَ هُمۡ یُسۡـَٔلُوۡنَ ﴿۲۳﴾

তিনি যা করেন, তৎসম্পর্কে তিনি জিজ্ঞাসিত হবেন না এবং তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে ।


اَمِ اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِهٖۤ اٰلِهَۃً ؕ قُلۡ هَاتُوۡا بُرۡهَانَکُمۡ ۚ هٰذَا ذِکۡرُ مَنۡ مَّعِیَ وَ ذِکۡرُ مَنۡ قَبۡلِیۡ ؕ بَلۡ اَکۡثَرُهُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ۙ الۡحَقَّ فَهُمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ ﴿۲۴﴾

তারা কি আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য গ্রহণ করেছে ? বলুন, তোমরা তোমাদের প্রমাণ আন । এটাই আমার সঙ্গীদের কথা এবং এটাই আমার পূর্ববর্তীদের কথা । বরং তাদের অধিকাংশই সত্য জানে না; অতএব তারা টালবাহানা করে ।


وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ قَبۡلِکَ مِنۡ رَّسُوۡلٍ اِلَّا نُوۡحِیۡۤ اِلَیۡہِ اَنَّہٗ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّاۤ اَنَا فَاعۡبُدُوۡنِ ﴿۲۵﴾

আপনার পূর্বে আমি যে রসূলই প্রেরণ করেছি, তাকে এ আদেশই প্রেরণ করেছি যে, আমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই । সুতরাং আমারই এবাদত কর ।


وَ قَالُوا اتَّخَذَ الرَّحۡمٰنُ وَلَدًا سُبۡحٰنَہٗ ؕ بَلۡ عِبَادٌ مُّکۡرَمُوۡنَ ﴿ۙ۲۶﴾

তারা বলল : দয়াময় আল্লাহ্ সন্তান প্রহণ করেছে । তাঁর জন্য কখনও ইহা যোগ্য নয় ; বরং তারা তো তাঁর সম্মানিত বান্দা ।


لَا یَسۡبِقُوۡنَہٗ بِالۡقَوۡلِ وَ هُمۡ بِاَمۡرِہٖ یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۲۷﴾

তারা আগে বেড়ে কথা বলতে পারে না এবং তারা তাঁর আদেশেই কাজ করে ।


یَعۡلَمُ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ مَا خَلۡفَہُمۡ وَ لَا یَشۡفَعُوۡنَ ۙ اِلَّا لِمَنِ ارۡتَضٰی وَ هُمۡ مِّنۡ خَشۡیَتِہٖ مُشۡفِقُوۡنَ ﴿۲۸﴾

তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা আছে, তা তিনি জানেন । তারা শুধু তাদের জন্যে সুপারিশ করে, যাদের প্রতি আল্লাহ্ সন্তুষ্ট এবং তারা তাঁর ভয়ে ভীত ।


وَ مَنۡ یَّقُلۡ مِنۡہُمۡ اِنِّیۡۤ اِلٰہٌ مِّنۡ دُوۡنِہٖ فَذٰلِکَ نَجۡزِیۡہِ جَہَنَّمَ ؕ کَذٰلِکَ نَجۡزِی الظّٰلِمِیۡنَ ﴿٪۲۹﴾

তাদের মধ্যে যে বলে যে, তিনি ব্যতীত আমিই উপাস্য, তাকে আমি জাহান্নামের শাস্তি দেব । আমি জালেমদেরকে এভাবেই প্রতিফল দিয়ে থাকি ।


اَوَ لَمۡ یَرَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَنَّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ کَانَتَا رَتۡقًا فَفَتَقۡنٰہُمَا ؕ وَ جَعَلۡنَا مِنَ الۡمَآءِ کُلَّ شَیۡءٍ حَیٍّ ؕ اَفَلَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۳۰﴾

কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অত:পর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম । এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না ?


وَ جَعَلۡنَا فِی الۡاَرۡضِ رَوَاسِیَ اَنۡ تَمِیۡدَ بِہِمۡ ۪ وَ جَعَلۡنَا فِیۡہَا فِجَاجًا سُبُلًا لَّعَلَّہُمۡ یَہۡتَدُوۡنَ ﴿۳۱﴾

আমি পৃথিবীতে ভারী বোঝা রেখে দিয়েছি যাতে তাদেরকে নিয়ে পৃথিবী ঝুঁকে না পড়ে এবং তাতে প্রশস্ত পথ রেখেছি, যাতে তারা পথপ্রাপ্ত হয় ।


وَ جَعَلۡنَا السَّمَآءَ سَقۡفًا مَّحۡفُوۡظًا ۚۖ وَّ هُمۡ عَنۡ اٰیٰتِہَا مُعۡرِضُوۡنَ ﴿۳۲﴾

আমি আকাশকে সুরক্ষিত ছাদ করেছি; অথচ তারা আমার আকাশস্থ নিদর্শনাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে ।


وَ هُوَ الَّذِیۡ خَلَقَ الَّیۡلَ وَ النَّہَارَ وَ الشَّمۡسَ وَ الۡقَمَرَ ؕ کُلٌّ فِیۡ فَلَکٍ یَّسۡبَحُوۡنَ ﴿۳۳﴾

তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র । সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে ।


وَ مَا جَعَلۡنَا لِبَشَرٍ مِّنۡ قَبۡلِکَ الۡخُلۡدَ ؕ اَفَا۠ئِنۡ مِّتَّ فَہُمُ الۡخٰلِدُوۡنَ ﴿۳۴﴾

আপনার পূর্বেও কোন মানুষকে আমি অনন্ত জীবন দান করিনি । সুতরাং আপনার মৃত্যু হলে তারা কি চিরঞ্জীব হবে ?


کُلُّ نَفۡسٍ ذَآئِقَۃُ الۡمَوۡتِ ؕ وَ نَبۡلُوۡکُمۡ بِالشَّرِّ وَ الۡخَیۡرِ فِتۡنَۃً ؕ وَ اِلَیۡنَا تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۳۵﴾

প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে । আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে ।


وَ اِذَا رَاٰکَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اِنۡ یَّتَّخِذُوۡنَکَ اِلَّا هُزُوًا ؕ اَهٰذَا الَّذِیۡ یَذۡکُرُ اٰلِهَتَکُمۡ ۚ وَ هُمۡ بِذِکۡرِ الرَّحۡمٰنِ هُمۡ کٰفِرُوۡنَ ﴿۳۶﴾

কাফেররা যখন আপনাকে দেখে তখন আপনার সাথে ঠাট্টা করা ছাড়া তাদের আর কোন কাজ থাকে না, একি সেই ব্যক্তি, যে তোমাদের দেব-দেবীদের সমালোচনা করে ? এবং তারাই তো রহমান’-এর আলোচনায় অস্বীকার করে ।


خُلِقَ الۡاِنۡسَانُ مِنۡ عَجَلٍ ؕ سَاُورِیۡکُمۡ اٰیٰتِیۡ فَلَا تَسۡتَعۡجِلُوۡنِ ﴿۳۷﴾

সৃষ্টিগতভাবে মানুষ ত্বরাপ্রবণ, আমি সত্বরই তোমাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী দেখাব । অতএব আমাকে শীঘ্র করতে বলো না ।


وَ یَقُوۡلُوۡنَ مَتٰی هٰذَا الۡوَعۡدُ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۳۸﴾

এবং তারা বলে : যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে এই ওয়াদা কবে পূর্ণ হবে ?


لَوۡ یَعۡلَمُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا حِیۡنَ لَا یَکُفُّوۡنَ عَنۡ وُّجُوۡهِہِمُ النَّارَ وَ لَا عَنۡ ظُہُوۡرِهِمۡ وَ لَا هُمۡ یُنۡصَرُوۡنَ ﴿۳۹﴾

যদি কাফেররা ঐ সময়টি জানত, যখন তারা তাদের সম্মুখ ও পৃষ্ঠদেশ থেকে অগ্নি প্রতিরোধ করতে পারবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না ।


بَلۡ تَاۡتِیۡہِمۡ بَغۡتَۃً فَتَبۡہَتُہُمۡ فَلَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ رَدَّهَا وَ لَا هُمۡ یُنۡظَرُوۡنَ ﴿۴۰﴾

বরং তা আসবে তাদের উপর অতর্কিতভাবে, অত:পর তাদেরকে তা হতবুদ্ধি করে দেবে, তখন তারা তা রোধ করতেও পারবে না এবং তাদেরকে অবকাশও দেয়া হবে না ।


وَ لَقَدِ اسۡتُہۡزِئَ بِرُسُلٍ مِّنۡ قَبۡلِکَ فَحَاقَ بِالَّذِیۡنَ سَخِرُوۡا مِنۡہُمۡ مَّا کَانُوۡا بِہٖ یَسۡتَہۡزِءُوۡنَ ﴿٪۴۱﴾

আপনার পূর্বেও অনেক রসূলের সাথে ঠাট্টাবিদ্রূপ করা হয়েছে । অত:পর যে বিষয়ে তারা ঠাট্টা করত তা উল্টো ঠাট্টাকারীদের উপরই আপতিত হয়েছে ।


قُلۡ مَنۡ یَّکۡلَؤُکُمۡ بِالَّیۡلِ وَ النَّہَارِ مِنَ الرَّحۡمٰنِ ؕ بَلۡ هُمۡ عَنۡ ذِکۡرِ رَبِّہِمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ ﴿۴۲﴾

বলুন : ’রহমান’ থেকে কে তোমাদেরকে হেফাযত করবে রাত্রে ও দিনে । বরং তারা তাদের পালনকর্তার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে ।


اَمۡ لَہُمۡ اٰلِہَۃٌ تَمۡنَعُہُمۡ مِّنۡ دُوۡنِنَا ؕ لَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ نَصۡرَ اَنۡفُسِہِمۡ وَ لَا هُمۡ مِّنَّا یُصۡحَبُوۡنَ ﴿۴۳﴾

তবে কি আমি ব্যতীত তাদের এবন দেব-দেবী আছে যারা তাদেরকে রক্ষা করবে ? তারা তো নিজেদেরই সাহায্য করতে সক্ষম নয় এবং তারা আমার মোকাবেলায় সাহায্যকারীও পাবে না ।


بَلۡ مَتَّعۡنَا هٰۤؤُلَآءِ وَ اٰبَآءَهُمۡ حَتّٰی طَالَ عَلَیۡهِمُ الۡعُمُرُ ؕ اَفَلَا یَرَوۡنَ اَنَّا نَاۡتِی الۡاَرۡضَ نَنۡقُصُهَا مِنۡ اَطۡرَافِهَا ؕ اَفَهُمُ الۡغٰلِبُوۡنَ ﴿۴۴﴾

বরং আমি তাদেরকে এবং তাদের বাপ-দাদাকে ভোগসম্ভার দিয়েছিলাম, এমনকি তাদের আয়ুষ্কালও দীর্ঘ হয়েছিল । তারা কি দেখে না যে, আমি তাদের দেশকে চতুর্দিক থেকে হ্রাস করে আনছি । এরপরও কি তারা বিজয়ী হবে ?


قُلۡ اِنَّمَاۤ اُنۡذِرُکُمۡ بِالۡوَحۡیِ ۫ۖ وَ لَا یَسۡمَعُ الصُّمُّ الدُّعَآءَ اِذَا مَا یُنۡذَرُوۡنَ ﴿۴۵﴾

বলুন : আমি তো কেবল ওহীর মাধ্যমেই তোমাদেরকে সতর্ক করি, কিন্তু বধিরদেরকে যখন সতর্ক করা হয়, তখন তারা সে সতর্কবাণী শোনে না ।


وَ لَئِنۡ مَّسَّتۡہُمۡ نَفۡحَۃٌ مِّنۡ عَذَابِ رَبِّکَ لَیَقُوۡلُنَّ یٰوَیۡلَنَاۤ اِنَّا کُنَّا ظٰلِمِیۡنَ ﴿۴۶﴾

আপনার পালনকর্তার আযাবের কিছুমাত্রও তাদেরকে স্পর্শ করলে তারা বলতে থাকবে, হায় আমাদের দূর্ভাগ্য, আমরা অবশ্যই পাপী ছিলাম ।


وَ نَضَعُ الۡمَوَازِیۡنَ الۡقِسۡطَ لِیَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ فَلَا تُظۡلَمُ نَفۡسٌ شَیۡئًا ؕ وَ اِنۡ کَانَ مِثۡقَالَ حَبَّۃٍ مِّنۡ خَرۡدَلٍ اَتَیۡنَا بِہَا ؕ وَ کَفٰی بِنَا حٰسِبِیۡنَ ﴿۴۷﴾

আমি কেয়ামতের দিন ন্যায়বিচারের মানদণ্ড স্থাপন করব । সুতরাং কারও প্রতি জুলুম হবে না । যদি কোন আমল সরিষার দানা পরিমাণও হয়, আমি তা উপস্থিত করব এবং হিসাব গ্রহণের জন্যে আমিই যথেষ্ট ।


وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسٰی وَ هٰرُوۡنَ الۡفُرۡقَانَ وَ ضِیَآءً وَّ ذِکۡرًا لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ﴿ۙ۴۸﴾

আমি সূসা ও হারূনকে দান করেছিলাম মীমাংসাকারী গ্রন্থ, আলো ও উপদেশধ, আল্লাহ্ ভীরুদের জন্য –


الَّذِیۡنَ یَخۡشَوۡنَ رَبَّہُمۡ بِالۡغَیۡبِ وَ هُمۡ مِّنَ السَّاعَۃِ مُشۡفِقُوۡنَ ﴿۴۹﴾

যারা না দেখেই তাদের পালনকর্তাকে ভয় করে এবং কেয়ামতের ভয়ে শঙ্কিত ।


وَ هٰذَا ذِکۡرٌ مُّبٰرَکٌ اَنۡزَلۡنٰهُ ؕ اَفَاَنۡتُمۡ لَهٗ مُنۡکِرُوۡنَ ﴿۵۰﴾

এবং এটা একটা বরকতময় উপদেশ, যা আমি নাযিল করেছি । অতএব তোমরা কি একে অস্বীকার কর ?


وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَاۤ اِبۡرٰهِیۡمَ رُشۡدَہٗ مِنۡ قَبۡلُ وَ کُنَّا بِہٖ عٰلِمِیۡنَ ﴿ۚ۵۱﴾

আর, আমি ইতিপূর্বে ইবরাহীমকে তার সৎপন্থা দান করেছিলাম এবং আমি তার সম্পর্কে সম্যক পরিজ্ঞাতও ছিলাম ।


اِذۡ قَالَ لِاَبِیۡهِ وَ قَوۡمِهٖ مَا هٰذِهِ التَّمَاثِیۡلُ الَّتِیۡۤ اَنۡتُمۡ لَهَا عٰکِفُوۡنَ ﴿۵۲﴾

যখন তিনি তাঁর পিতা ও তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন : “এই মূর্তিগুলো কী, যাদের তোমরা পূজারী হয়ে বসে আছ” ?


قَالُوۡا وَجَدۡنَاۤ اٰبَآءَنَا لَہَا عٰبِدِیۡنَ ﴿۵۳﴾

কারা বলল : আমরা আমাদের বাপ-দাদাকে এদের পূজা করতে দেখেছি ।


قَالَ لَقَدۡ کُنۡتُمۡ اَنۡتُمۡ وَ اٰبَآؤُکُمۡ فِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ ﴿۵۴﴾

সে বলল, ‘তোমরা নিজেরা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষরা সবাই রয়েছ স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে।


قَالُوۡۤا اَجِئۡتَنَا بِالۡحَقِّ اَمۡ اَنۡتَ مِنَ اللّٰعِبِیۡنَ ﴿۵۵﴾

তারা বলর : তুমি কি আমাদের কাছে সত্যসহ আগমন করেছ, না তুমি কৌতুক করছ ?


قَالَ بَلۡ رَّبُّکُمۡ رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ الَّذِیۡ فَطَرهُنَّ ۫ۖ وَ اَنَا عَلٰی ذٰلِکُمۡ مِّنَ الشّٰہِدِیۡنَ ﴿۵۶﴾

তিনি বললেন : না, তিনিই তোমাদের পালনকর্তা যিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের পালনকর্তা, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন ; এবং আমি এই বিষয়েরই সাক্ষ্যদাতা ।


وَ تَاللّٰہِ لَاَکِیۡدَنَّ اَصۡنَامَکُمۡ بَعۡدَ اَنۡ تُوَلُّوۡا مُدۡبِرِیۡنَ ﴿۵۷﴾

আল্লাহর কসম, যখন তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে চলে যাবে, তখন আমি তোমাদের মূর্তিগুলোর ব্যাপারে একটা ব্যবস্থা অবলম্বন করব ।


فَجَعَلَہُمۡ جُذٰذًا اِلَّا کَبِیۡرًا لَّہُمۡ لَعَلَّہُمۡ اِلَیۡہِ یَرۡجِعُوۡنَ ﴿۵۸﴾

অত:পর তিনি সেগুলোকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিলেন ওদের প্রধানটি ব্যতীত ; যাতে তারা তাঁর কাছে প্রত্যাবর্তন করে ।


قَالُوۡا مَنۡ فَعَلَ هٰذَا بِاٰلِهَتِنَاۤ اِنَّهٗ لَمِنَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۵۹﴾

তারা বলল : আমাদের উপাস্যদের সাথে এরূপ ব্যবহার কে বরল ? সে তো নিশ্চয়ই কোন জালিম ।


قَالُوۡا سَمِعۡنَا فَتًی یَّذۡکُرُهُمۡ یُقَالُ لَہٗۤ اِبۡرٰهِیۡمُ ﴿ؕ۶۰﴾

কতক লোকে বলল : আমরা এক যুবককে তাদের সম্পর্কে বিরূপ আলোচনা করতে শুনেছি ; তাকে ইব্রাহীম বলা হয় ।


قَالُوۡا فَاۡتُوۡا بِہٖ عَلٰۤی اَعۡیُنِ النَّاسِ لَعَلَّہُمۡ یَشۡہَدُوۡنَ ﴿۶۱﴾

তারা বলল : তাকে জনসমক্ষে উপস্থিত কর, যাতে তারা দেখে ।


قَالُوۡۤا ءَاَنۡتَ فَعَلۡتَ هٰذَا بِاٰلِهَتِنَا یٰۤـاِبۡرٰهِیۡمُ ﴿ؕ۶۲﴾

তারা বলল : হে ইবরাহীম, তুমিই কি আমাদের উপাস্যদের সাথে এরূপ ব্যবহার করেছ ?


قَالَ بَلۡ فَعَلَهٗ ٭ۖ کَبِیۡرُهُمۡ هٰذَا فَسۡـَٔلُوۡهُمۡ اِنۡ کَانُوۡا یَنۡطِقُوۡنَ ﴿۶۳﴾

তিনি বললেন : না, এদের এই প্রধানই তো একাজ করেছে । অতএব তাদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তারা কথা বলতে পাবে ।


فَرَجَعُوۡۤا اِلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ فَقَالُوۡۤا اِنَّکُمۡ اَنۡتُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ﴿ۙ۶۴﴾

অত:পর তারা মনে মনে চিন্তা করল এবং বলল : লোকসকল ; তোমরাই বে-ইনসাফ ।


ثُمَّ نُکِسُوۡا عَلٰی رُءُوۡسِهِمۡ ۚ لَقَدۡ عَلِمۡتَ مَا هٰۤؤُلَآءِ یَنۡطِقُوۡنَ ﴿۶۵﴾

অত:পর তারা ঝুঁকি গেল মস্তক নত করে : ‘তুমি তো জান যে, এরা কথা বলে না”


قَالَ اَفَتَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ مَا لَا یَنۡفَعُکُمۡ شَیۡئًا وَّ لَا یَضُرُّکُمۡ ﴿ؕ۶۶﴾

তিনি বললেন : তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর এবাদত কর, যা তোমাদের কোন উপকারও করতে পারে না এবং ক্ষতিও করতে পারে না ?


اُفٍّ لَّکُمۡ وَ لِمَا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۶۷﴾

ধিক তোমাদের জন্যে এবং তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত যাদেরই এবাদত কর, ওদের জন্যে । তোমরা কি বোঝ না ?


قَالُوۡا حَرِّقُوۡہُ وَ انۡصُرُوۡۤا اٰلِہَتَکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ فٰعِلِیۡنَ ﴿۶۸﴾

‍তারা বলল : একে পুড়িয়ে দাও এবং তোমাদের উপাস্যদের সাহায্য কর, যদি তোমরা কিছু করতে চাও ।


قُلۡنَا یٰنَارُ کُوۡنِیۡ بَرۡدًا وَّ سَلٰمًا عَلٰۤی اِبۡرٰهِیۡمَ ﴿ۙ۶۹﴾

আমি বললাম : ‘হে অগ্নি, তুমিও ইবরাহীমের উপর শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও ।’


وَ اَرَادُوۡا بِہٖ کَیۡدًا فَجَعَلۡنٰہُمُ الۡاَخۡسَرِیۡنَ ﴿ۚ۷۰﴾

তারা ইবরাহীমের বিরুদ্ধে ফন্দি আঁটতে চাইল, অত:পর আমি তাদেরকেই সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত করে দিলাম ।


وَ نَجَّیۡنٰہُ وَ لُوۡطًا اِلَی الۡاَرۡضِ الَّتِیۡ بٰرَکۡنَا فِیۡہَا لِلۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۷۱﴾

আমি তাঁকে ও লূতকে উদ্ধার করে সেই দেশে পৌঁছিয়ে দিলাম, যেখানে আমি বিশ্বের জন্যে কল্যাণ রেখেছি ।


وَ وَهَبْنَا لَہٗۤ اِسۡحٰقَ ؕ وَ یَعۡقُوۡبَ نَافِلَۃً ؕ وَ کُلًّا جَعَلۡنَا صٰلِحِیۡنَ ﴿۷۲﴾

আমি তাকে দান করলাম ইসহাক ও পুরস্কার স্বরুপ দিলাম ইয়াকুব এবং প্রত্যেককেই সৎকর্মপরায়ণ করলাম ।


وَ جَعَلۡنٰہُمۡ اَئِمَّۃً یَّہۡدُوۡنَ بِاَمۡرِنَا وَ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡہِمۡ فِعۡلَ الۡخَیۡرٰتِ وَ اِقَامَ الصَّلٰوۃِ وَ اِیۡتَآءَ الزَّکٰوۃِ ۚ وَ کَانُوۡا لَنَا عٰبِدِیۡنَ ﴿ۚۙ۷۳﴾

আমি তাঁদেরকে নেতা করলাম । তাঁরা আমার নির্দেশ অনুসারে পথ প্রদর্শন করতেন । আমি তাঁদের প্রতি ওহী নাযিল করলাম সৎকর্ম করার, নামায কায়েম করার এবং যাকাত দান করার । তাঁরা আমার এবাদতে ব্যাপৃত ছিল ।


وَ لُوۡطًا اٰتَیۡنٰہُ حُکۡمًا وَّ عِلۡمًا وَّ نَجَّیۡنٰہُ مِنَ الۡقَرۡیَۃِ الَّتِیۡ کَانَتۡ تَّعۡمَلُ الۡخَبٰٓئِثَ ؕ اِنَّہُمۡ کَانُوۡا قَوۡمَ سَوۡءٍ فٰسِقِیۡنَ ﴿ۙ۷۴﴾

এবং আমি লূতকে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান এবং তাঁকে ঐ জনপদ থেকে উদ্ধার করেছিলাম, যারা নোংরা কাজে লিপ্ত ছিল । তারা মন্দ ও নাফরমান সম্প্রদায় ছিল ।


وَ اَدۡخَلۡنٰہُ فِیۡ رَحۡمَتِنَا ؕ اِنَّہٗ مِنَ الصّٰلِحِیۡنَ ﴿٪۷۵﴾

আমি তাকে আমার অনুগ্রহের অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম । সে ছিল সৎকর্মশীলদের একজন ।


وَ نُوۡحًا اِذۡ نَادٰی مِنۡ قَبۡلُ فَاسۡتَجَبۡنَا لَہٗ فَنَجَّیۡنٰہُ وَ اَهْلَہٗ مِنَ الۡکَرۡبِ الۡعَظِیۡمِ ﴿ۚ۷۶﴾

এবং স্মরণ করুন নূহকে ; যখন তিনি এর পূর্বে আহবান করেছিলেন, তখন আমি তাঁর দোয়া করূল করেছিলাম, অত:পর তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে মহাসংকট থেকে উদ্ধার করেছিলাম ।


وَ نَصَرۡنٰہُ مِنَ الۡقَوۡمِ الَّذِیۡنَ کَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِنَا ؕ اِنَّہُمۡ کَانُوۡا قَوۡمَ سَوۡءٍ فَاَغۡرَقۡنٰہُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿۷۷﴾

এবং আমি তাঁকে ঐ সম্প্রদায়ের বিপক্ষে সাহায্য করেছিলাম, যারা আমার নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করেছিল । নিশ্চয়, তারা ছিল এক মন্দ সম্প্রদায় । অত:পর আমি তাদের সবাইকে নিমজ্জিত করেছিলাম ।


وَ دَاوٗدَ وَ سُلَیۡمٰنَ اِذۡ یَحۡکُمٰنِ فِی الۡحَرۡثِ اِذۡ نَفَشَتۡ فِیۡہِ غَنَمُ الۡقَوۡمِ ۚ وَ کُنَّا لِحُکۡمِہِمۡ شٰہِدِیۡنَ ﴿٭ۙ۷۸﴾

এবং স্মরণ করুন দাউদ ও সুলায়মানকে, যখন তাঁরা শস্যক্ষেত্র সম্পর্কে বিচার করছিলেন । তাতে রাত্রিকালে কিছু লোকের মেষ ঢুকে পড়েছিল । তাদের বিচার আমার সম্মুখে ছিল ।


فَفَہَّمۡنٰہَا سُلَیۡمٰنَ ۚ وَ کُلًّا اٰتَیۡنَا حُکۡمًا وَّ عِلۡمًا ۫ وَّ سَخَّرۡنَا مَعَ دَاوٗدَ الۡجِبَالَ یُسَبِّحۡنَ وَ الطَّیۡرَ ؕ وَ کُنَّا فٰعِلِیۡنَ ﴿۷۹﴾

অত:পর আমি সূলায়মানকে সে ফয়সালা বুঝিয়ে দিয়েছিলাম এবং আমি উভয়কে প্রজ্ঞা ও জ্ঞান দিয়েছিলাম । আমি পর্বত ও পক্ষীসমূহকে দাউদের অনুগত করে দিয়েছিলাম । তারা আমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করত । এই সমস্ত আমিই করেছিলাম ।


وَ عَلَّمۡنٰہُ صَنۡعَۃَ لَبُوۡسٍ لَّکُمۡ لِتُحۡصِنَکُمۡ مِّنۡۢ بَاۡسِکُمۡ ۚ فَہَلۡ اَنۡتُمۡ شٰکِرُوۡنَ ﴿۸۰﴾

আমি তাঁকে তোমাদের জন্যে বর্ম নির্মাণ শিক্ষা দিয়েছিলাম, যাতে তা যুদ্ধে তোমাদেরকে রক্ষা করে । অতএব তোমরা কি কৃতজ্ঞ হবে ?


وَ لِسُلَیۡمٰنَ الرِّیۡحَ عَاصِفَۃً تَجۡرِیۡ بِاَمۡرِہٖۤ اِلَی الۡاَرۡضِ الَّتِیۡ بٰرَکۡنَا فِیۡہَا ؕ وَ کُنَّا بِکُلِّ شَیۡءٍ عٰلِمِیۡنَ ﴿۸۱﴾

এবং সুলায়মানের অধীন করে দিয়েছিলাম প্রবল বায়ুকে ; তা তাঁর আদেশে প্রবাহিত হত ঐ দেশের দিকে, যেখানে আমি কল্যাণ দান করেছি । আমি সব বিষয়েই সম্যক অবগত রয়েছি ।


وَ مِنَ الشَّیٰطِیۡنِ مَنۡ یَّغُوۡصُوۡنَ لَہٗ وَ یَعۡمَلُوۡنَ عَمَلًا دُوۡنَ ذٰلِکَ ۚ وَ کُنَّا لَہُمۡ حٰفِظِیۡنَ ﴿ۙ۸۲﴾

এবং অধীন করেছি শয়তানদের কতককে, যারা তাঁর জন্যে ডুবুরীর কাজ করত এবং এ ছাড়া অন্য আরও অনেক কাজ করত । আমি তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখতাম ।


وَ اَیُّوۡبَ اِذۡ نَادٰی رَبَّہٗۤ اَنِّیۡ مَسَّنِیَ الضُّرُّ وَ اَنۡتَ اَرۡحَمُ الرّٰحِمِیۡنَ ﴿ۚۖ۸۳﴾

এবং স্মরণ করুন আইয়্যুবের কথা, যখন তিনি তাঁর পালনকর্তাকে আহবান করে বলেছিলেন : আমি দু:খকষ্টে পতিত হয়েছি এবং আপনি দয়াবানদের চাইতেও সর্বশ্রেষ্ট দয়াবান ।


فَاسۡتَجَبۡنَا لَہٗ فَکَشَفۡنَا مَا بِہٖ مِنۡ ضُرٍّ وَّ اٰتَیۡنٰہُ اَهْلَہٗ وَ مِثۡلَہُمۡ مَّعَہُمۡ رَحۡمَۃً مِّنۡ عِنۡدِنَا وَ ذِکۡرٰی لِلۡعٰبِدِیۡنَ ﴿۸۴﴾

অত:পর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁর দু:খকষ্ট দূর করে দিলাম এবং তাঁর পরিবারবর্গ ফিরিয়ে দিলাম, আর তাদের সাথে তাদের সমপরিমাণ আরও দিলাম আমার পক্ষ থেকে কৃপাবশত : ; আর এটা এবাদতকারীদের জন্যে উপদেশ স্বরূপ ।


وَ اِسۡمٰعِیۡلَ وَ اِدۡرِیۡسَ وَ ذَاالۡکِفۡلِ ؕ کُلٌّ مِّنَ الصّٰبِرِیۡنَ ﴿ۚۖ۸۵﴾

এবং ইসামাঈল , ইদরীস ও যুলকিফলের কথা স্মরণ করুন, তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন সবরকারী ।


وَ اَدۡخَلۡنٰہُمۡ فِیۡ رَحۡمَتِنَا ؕ اِنَّہُمۡ مِّنَ الصّٰلِحِیۡنَ ﴿۸۶﴾

আমি তাঁদেরকে আমার রহমতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম । তাঁরা ছিলেন সৎকর্মপরায়ণ ।


وَ ذَاالنُّوۡنِ اِذۡ ذَّهَبَ مُغَاضِبًا فَظَنَّ اَنۡ لَّنۡ نَّقۡدِرَ عَلَیۡہِ فَنَادٰی فِی الظُّلُمٰتِ اَنۡ لَّاۤ اِلٰہَ اِلَّاۤ اَنۡتَ سُبۡحٰنَکَ ٭ۖ اِنِّیۡ کُنۡتُ مِنَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿ۚۖ۸۷﴾

এবং মাছওয়ালার কথা স্মরণ করুন তিনি ক্রদ্ধ হয়ে চলে গিয়েছিলেন, অত:পর মনে করেছিলেন যে, আমি তাঁকে ধৃত করতে পারব না । অত:পর তিনি অন্ধকারের মধ্যে আহবান করলেন : তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তুমি নির্দোষ আমি গোনাহগার ।


فَاسۡتَجَبۡنَا لَہٗ ۙ وَ نَجَّیۡنٰہُ مِنَ الۡغَمِّ ؕ وَ کَذٰلِکَ نُــۨۡجِی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۸۸﴾

অত:পর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম । আমি এমনিভাবে বিশ্ববাসীদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি ।


وَ زَکَرِیَّاۤ اِذۡ نَادٰی رَبَّہٗ رَبِّ لَا تَذَرۡنِیۡ فَرۡدًا وَّ اَنۡتَ خَیۡرُ الۡوٰرِثِیۡنَ ﴿ۚۖ۸۹﴾

এবং যাকারিয়ার কথা স্মরণ করুন, যখন সে তার পালনকর্তাকে আহবান করেছিল : হে আমার পালনকর্তা, আমাকে একা রেখো না । তুমি তো উত্তম ওয়ারিস ।


فَاسۡتَجَبۡنَا لَہٗ ۫ وَ وَهَبۡنَا لَہٗ یَحۡیٰی وَ اَصۡلَحۡنَا لَہٗ زَوۡجَہٗ ؕاِنَّہُمۡ کَانُوۡا یُسٰرِعُوۡنَ فِی الۡخَیۡرٰتِ وَ یَدۡعُوۡنَنَا رَغَبًا وَّ رَهَبًا ؕوَ کَانُوۡا لَنَا خٰشِعِیۡنَ ﴿۹۰﴾

অত:পর আমি তার দোয়া কবূল করেছিলাম, তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া এবং তার জন্যে তার স্ত্রীকে প্রসবযোগ্য করেছিলাম তারা সৎকর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ত, তারা আশা ও ভীতি সহকারে আমাকে ডাকত এবং তারা ছিল আমার কাছে বিনীত ।


وَ الَّتِیۡۤ اَحۡصَنَتۡ فَرۡجَہَا فَنَفَخۡنَا فِیۡہَا مِنۡ رُّوۡحِنَا وَ جَعَلۡنٰہَا وَ ابۡنَہَاۤ اٰیَۃً لِّلۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۹۱﴾

এবং সেই নারীর কথা আলোচনা করুন, যে তার কামপ্রবৃত্তিকে বশে রেখেছিল , অত:পর আমি তার মধ্যে আমা রূহ ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং তাকে ও তার পুত্রকে বিশ্ববাসীর জন্য নিদর্শন করেছিলাম ।


اِنَّ هٰذِهٖۤ اُمَّتُکُمۡ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً ۫ۖ وَّ اَنَا رَبُّکُمۡ فَاعۡبُدُوۡنِ ﴿۹۲﴾

তারা সকলেই তোমাদের ধর্মের ; একই ধর্মে তো বিশ্বাসী সবাই এবং আমিই তোমাদের পালনকর্তা, অতএব আমার বন্দেগী কর ।


وَ تَقَطَّعُوۡۤا اَمۡرَهُمۡ بَیۡنَہُمۡ ؕ کُلٌّ اِلَیۡنَا رٰجِعُوۡنَ ﴿٪۹۳﴾

এবং মানুষ তাদের কার্যকলাপ দ্বারা পারস্পরিক বিষয়ে ভেদ সুষ্টি করেছে । প্রত্যেকেই আমার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে ।


فَمَنۡ یَّعۡمَلۡ مِنَ الصّٰلِحٰتِ وَ هُوَ مُؤۡمِنٌ فَلَا کُفۡرَانَ لِسَعۡیِہٖ ۚ وَ اِنَّا لَہٗ کٰتِبُوۡنَ ﴿۹۴﴾

অত:পর যে বিশ্বাসী অবস্থায় সৎকর্ম সম্পাদন করে, তার প্রচেষ্টা অস্বীকৃত হবে না এবং আমি তা লিপিবদ্ধ করে রাখি ।


وَ حَرٰمٌ عَلٰی قَرۡیَۃٍ اَهْلَکۡنٰہَاۤ اَنَّہُمۡ لَا یَرۡجِعُوۡنَ ﴿۹۵﴾

যেসব জনপদকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি, তার অধিবাসীদের ফিরে না আসা অবধারিত ;


حَتّٰۤی اِذَا فُتِحَتۡ یَاۡجُوۡجُ وَ مَاۡجُوۡجُ وَ هُمۡ مِّنۡ کُلِّ حَدَبٍ یَّنۡسِلُوۡنَ ﴿۹۶﴾

যে পর্যন্ত না ইয়াজুজ ও মাজুজকে বন্ধন মুক্ত করে দেয়া হবে এবং তারা প্রত্যেক উচ্চভূমি থেমে দ্রুত ছুটে আসবে ।


وَ اقۡتَرَبَ الۡوَعۡدُ الۡحَقُّ فَاِذَا هِیَ شَاخِصَۃٌ اَبۡصَارُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ یٰوَیۡلَنَا قَدۡ کُنَّا فِیۡ غَفۡلَۃٍ مِّنۡ هٰذَا بَلۡ کُنَّا ظٰلِمِیۡنَ ﴿۹۷﴾

অমোঘ প্রতিশ্রুত সময় নিকটবর্তী হলে কাফেরদের চক্ষু উচ্চে স্থির হয়ে যাবে ; হায় আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা এ বিষয়ে বেখবর ছিলাম ; বরং আমরা গোনাহগারই ছিলাম ।


اِنَّکُمۡ وَ مَا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ حَصَبُ جَہَنَّمَ ؕ اَنۡتُمۡ لَہَا وٰرِدُوۡنَ ﴿۹۸﴾

তোমরা এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের পূজা কর, সেগুলো দোযখের উন্ধন । তোমরাই তাতে প্রবেশ করবে ।


لَوۡ کَانَ هٰۤؤُلَآءِ اٰلِهَۃً مَّا وَرَدُوۡهَا ؕ وَ کُلٌّ فِیۡهَا خٰلِدُوۡنَ ﴿۹۹﴾

এই মূর্তিরা যদি উপাস্য হত, তবে জাহান্নামে প্রবেশ করত না । প্রত্যেকেই তাতে চিরস্থায়ী হয়ে পড়ে থাকবে ।


لَہُمۡ فِیۡہَا زَفِیۡرٌ وَّ هُمۡ فِیۡہَا لَا یَسۡمَعُوۡنَ ﴿۱۰۰﴾

তারা সেখানে চীৎকার করবে এবং সেখানে তারা কিছুই শুনতে পাবে না ।


اِنَّ الَّذِیۡنَ سَبَقَتۡ لَہُمۡ مِّنَّا الۡحُسۡنٰۤی ۙ اُولٰٓئِکَ عَنۡہَا مُبۡعَدُوۡنَ ﴿۱۰۱﴾ۙ

যাদের জন্য প্রথম থেকেই আমার পক্ষ থেকে কল্যাণ নির্ধারিত হয়েছে তারা দোযখ থেকে দুরে থাকবে ।


لَا یَسۡمَعُوۡنَ حَسِیۡسَہَا ۚ وَ هُمۡ فِیۡ مَا اشۡتَہَتۡ اَنۡفُسُہُمۡ خٰلِدُوۡنَ ﴿۱۰۲﴾ۚ

তারা তার ক্ষীণতম শব্দও শুনবে না এবং তারা তাদের মনের বাসনা অনুযায়ী চিরকাল বসবাস করবে ।


لَا یَحۡزُنُهُمُ الۡفَزَعُ الۡاَکۡبَرُ وَ تَتَلَقّٰهُمُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ ؕ هٰذَا یَوۡمُکُمُ الَّذِیۡ کُنۡتُمۡ تُوۡعَدُوۡنَ ﴿۱۰۳﴾

মহা ত্রাস তাদেরকে চিন্তান্বিত করবে না এবং ফেরেশতারা তাদেরকে অভ্যর্থনা করবে : আজ তোমাদের দিন, যে দিনের ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল ।


یَوۡمَ نَطۡوِی السَّمَآءَ کَطَیِّ السِّجِلِّ لِلۡکُتُبِ ؕ کَمَا بَدَاۡنَاۤ اَوَّلَ خَلۡقٍ نُّعِیۡدُہٗ ؕ وَعۡدًا عَلَیۡنَا ؕ اِنَّا کُنَّا فٰعِلِیۡنَ ﴿۱۰۴﴾

সেদিন আমি আকাশকে গুটিয়ে নেব, যেমন গুটানো হয় লিখিত কাগজপত্র । যেভাবে আমি প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব । আমার ওয়াদা নিশ্চিত, আমাকে তা পূর্ণ করতেই হবে ।


وَ لَقَدۡ کَتَبۡنَا فِی الزَّبُوۡرِ مِنۡۢ بَعۡدِ الذِّکۡرِ اَنَّ الۡاَرۡضَ یَرِثُہَا عِبَادِیَ الصّٰلِحُوۡنَ ﴿۱۰۵﴾

আমি উপদেশের পর যবূরে লিখে দিয়েছি যে, আমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দগণ অবশেষে পৃথিবীর অধিকারী হবে ।


اِنَّ فِیۡ هٰذَا لَبَلٰغًا لِّقَوۡمٍ عٰبِدِیۡنَ ﴿۱۰۶﴾ؕ

এতে এবাদতকারী সম্প্রদায়ের জন্যে পর্যাপ্ত বিষয়বস্তু আছে ।


وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا رَحۡمَۃً لِّلۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۰۷﴾

আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি ।


قُلۡ اِنَّمَا یُوۡحٰۤی اِلَیَّ اَنَّمَاۤ اِلٰـہُکُمۡ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ ۚ فَہَلۡ اَنۡتُمۡ مُّسۡلِمُوۡنَ ﴿۱۰۸﴾

বলুন : আমাকে তো এ আদেশই দেয়া হয়েছে যে, তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য । সুতরাং তোমরা কি আজ্ঞাবহ হবে ?


فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَقُلۡ اٰذَنۡتُکُمۡ عَلٰی سَوَآءٍ ؕ وَ اِنۡ اَدۡرِیۡۤ اَقَرِیۡبٌ اَمۡ بَعِیۡدٌ مَّا تُوۡعَدُوۡنَ ﴿۱۰۹﴾

অত:পর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বলে দিন : ‘আমি তোমাদেরকে পরিষ্কারভাবে সতর্ক করেছি এবং আমি জানি না, তোমাদেরকে যে ওয়াদা দেয়া হয়েছে, তা নিকটবর্তী না দুরবর্তী ।


اِنَّہٗ یَعۡلَمُ الۡجَہۡرَ مِنَ الۡقَوۡلِ وَ یَعۡلَمُ مَا تَکۡتُمُوۡنَ ﴿۱۱۰﴾

তিনি জানেন, যে কথা সশব্দে বল এবং যে কথা তোমরা গোপন কর ।


وَ اِنۡ اَدۡرِیۡ لَعَلَّہٗ فِتۡنَۃٌ لَّکُمۡ وَ مَتَاعٌ اِلٰی حِیۡنٍ ﴿۱۱۱﴾

আমি জানি না সম্ভবত : বিলম্বের মধ্যে তোমাদের জন্যে একটি পরীক্ষা এবং এক সময় পর্যন্ত ভোগ করার সুযোগ ।


قٰلَ رَبِّ احۡکُمۡ بِالۡحَقِّ ؕ وَ رَبُّنَا الرَّحۡمٰنُ الۡمُسۡتَعَانُ عَلٰی مَا تَصِفُوۡنَ ﴿۱۱۲﴾

পয়গম্বর বললেন ; হে আমার পালনকর্তা, আপনি ন্যায়ানুগ ফয়সালা করে দিন । আমাদের পালনকর্তা তো দয়াময়, তোমরা যা বলছ, সে বিষয়ে আমরা তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থণা করি ।