43

আয্‌-যুখরুফ

আয়াত সংখ্যা 89

0.00

12:38

حٰمٓ ۚ﴿ۛ۱﴾

হা-মীম।


وَ الۡکِتٰبِ الۡمُبِیۡنِ ۙ﴿ۛ۲﴾

শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের;


اِنَّا جَعَلۡنٰہُ قُرۡءٰنًا عَرَبِیًّا لَّعَلَّکُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ ۚ﴿۳﴾

নিশ্চয় আমি তো একে আরবী কুরআন বানিয়েছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার।


وَ اِنَّہٗ فِیۡۤ اُمِّ الۡکِتٰبِ لَدَیۡنَا لَعَلِیٌّ حَکِیۡمٌ ؕ﴿۴﴾

আর নিশ্চয় তা আমার কাছে উম্মুল কিতাবে সুউচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন, প্রজ্ঞাপূর্ণ।


اَفَنَضۡرِبُ عَنۡکُمُ الذِّکۡرَ صَفۡحًا اَنۡ کُنۡتُمۡ قَوۡمًا مُّسۡرِفِیۡنَ ﴿۵﴾

তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী জাতি, এ কারণে কি আমি তোমাদের কাছ থেকে এ উপদেশবাণী সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করে নেব?


وَ کَمۡ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ نَّبِیٍّ فِی الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿۶﴾

আর পূর্ববর্তীদের মধ্যে আমি বহু নবী পাঠিয়েছিলাম।


وَ مَا یَاۡتِیۡہِمۡ مِّنۡ نَّبِیٍّ اِلَّا کَانُوۡا بِہٖ یَسۡتَہۡزِءُوۡنَ ﴿۷﴾

আর যখনই তাদের কাছে কোন নবী এসেছে তারা তাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেছে।


فَاَهْلَکۡنَاۤ اَشَدَّ مِنۡہُمۡ بَطۡشًا وَّ مَضٰی مَثَلُ الۡاَوَّلِیۡنَ ﴿۸﴾

ফলে তাদের চেয়েও শক্তিতে প্রবলদেরকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছিলাম। আর পূর্ববর্তীদের দৃষ্টান্ত অতীত হয়ে গেছে।


وَ لَئِنۡ سَاَلۡتَہُمۡ مَّنۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ لَیَقُوۡلُنَّ خَلَقَہُنَّ الۡعَزِیۡزُ الۡعَلِیۡمُ ﴿ۙ۹﴾

আর তুমি যদি জিজ্ঞাসা কর, আসমানসমূহ ও যমীন কে সৃষ্টি করেছেন? তারা অবশ্যই বলবে, মহাপরাক্রমশালী সর্বজ্ঞই কেবল এগুলো সৃষ্টি করেছেন।


الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الۡاَرۡضَ مَہۡدًا وَّ جَعَلَ لَکُمۡ فِیۡہَا سُبُلًا لَّعَلَّکُمۡ تَہۡتَدُوۡنَ ﴿ۚ۱۰﴾

যিনি যমীনকে তোমাদের জন্য শয্যা বানিয়েছেন এবং তাতে তোমাদের জন্য বানিয়েছেন চলার পথ, যাতে তোমরা সঠিক পথ পেতে পার।


وَ الَّذِیۡ نَزَّلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءًۢ بِقَدَرٍ ۚ فَاَنۡشَرۡنَا بِہٖ بَلۡدَۃً مَّیۡتًا ۚ کَذٰلِکَ تُخۡرَجُوۡنَ ﴿۱۱﴾

আর যিনি আসমান থেকে পরিমিতভাবে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর আমি তা দ্বারা মৃত জনপদকে সঞ্জীবিত করি। এভাবেই তোমাদেরকে বের করা হবে।


وَ الَّذِیۡ خَلَقَ الۡاَزۡوَاجَ کُلَّہَا وَ جَعَلَ لَکُمۡ مِّنَ الۡفُلۡکِ وَ الۡاَنۡعَامِ مَا تَرۡکَبُوۡنَ ﴿ۙ۱۲﴾

আর যিনি সব কিছুই জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি তোমাদের জন্য নৌযান ও গৃহপালিত জন্তু সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা আরোহণ কর,


لِتَسۡتَوٗا عَلٰی ظُهُوۡرِهٖ ثُمَّ تَذۡکُرُوۡا نِعۡمَۃَ رَبِّکُمۡ اِذَا اسۡتَوَیۡتُمۡ عَلَیۡهِ وَ تَقُوۡلُوۡا سُبۡحٰنَ الَّذِیۡ سَخَّرَ لَنَا هٰذَا وَ مَا کُنَّا لَهٗ مُقۡرِنِیۡنَ ﴿ۙ۱۳﴾

যাতে তোমরা এর পিঠে স্থির থাকতে পার তারপর তোমাদের রবের অনুগ্রহ স্মরণ করবে, যখন তোমরা এর উপর স্থির হয়ে বসবে আর বলবে, ‘পবিত্র-মহান সেই সত্তা যিনি এগুলোকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন। আর আমরা এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম ছিলাম না’।


وَ اِنَّاۤ اِلٰی رَبِّنَا لَمُنۡقَلِبُوۡنَ ﴿۱۴﴾

আর নিশ্চয় আমরা আমাদের রবের কাছেই প্রত্যাবর্তনকারী।


وَ جَعَلُوۡا لَہٗ مِنۡ عِبَادِہٖ جُزۡءًا ؕ اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لَکَفُوۡرٌ مُّبِیۡنٌ ﴿ؕ٪۱۵﴾

আর তারা তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে তাঁর অংশ সাব্যস্ত করেছে। নিশ্চয়ই মানুষ স্পষ্ট অকৃতজ্ঞ।


اَمِ اتَّخَذَ مِمَّا یَخۡلُقُ بَنٰتٍ وَّ اَصۡفٰکُمۡ بِالۡبَنِیۡنَ ﴿۱۶﴾

তিনি কি যা সৃষ্টি করেছেন তা থেকে কন্যা সন্তান গ্রহণ করেছেন, আর তোমাদেরকে বিশিষ্ট করেছেন পুত্র সন্তান দ্বারা?


وَ اِذَا بُشِّرَ اَحَدُهُمۡ بِمَا ضَرَبَ لِلرَّحۡمٰنِ مَثَلًا ظَلَّ وَجۡہُہٗ مُسۡوَدًّا وَّ هُوَ کَظِیۡمٌ ﴿۱۷﴾

আর যখন তাদের কাউকে সুসংবাদ দেয়া হয়, যা রহমানের প্রতি তারা দৃষ্টান্ত পেশ করে, তখন তার মুখমন্ডল মলিন হয়ে যায়। এমতাবস্থায় যে, সে দুঃসহ যাতনাপিষ্ট।


اَوَ مَنۡ یُّنَشَّؤُا فِی الۡحِلۡیَۃِ وَ هُوَ فِی الۡخِصَامِ غَیۡرُ مُبِیۡنٍ ﴿۱۸﴾

আর যে অলংকারে লালিত পালিত হয়; এবং বিতর্ককালে সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রদানে অক্ষম।


وَ جَعَلُوا الۡمَلٰٓئِکَۃَ الَّذِیۡنَ هُمۡ عِبٰدُ الرَّحۡمٰنِ اِنَاثًا ؕ اَشَہِدُوۡا خَلۡقَہُمۡ ؕ سَتُکۡتَبُ شَہَادَتُہُمۡ وَ یُسۡـَٔلُوۡنَ ﴿۱۹﴾

আর তারা গণ্য করেছে রহমানের বান্দা ফেরেশতাদেরকে নারী। তারা কি তাদের সৃষ্টি প্রত্যক্ষ করেছে? তাদের সাক্ষ্য অবশ্যই লিখে রাখা হবে এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।


وَ قَالُوۡا لَوۡ شَآءَ الرَّحۡمٰنُ مَا عَبَدۡنٰہُمۡ ؕ مَا لَہُمۡ بِذٰلِکَ مِنۡ عِلۡمٍ ٭ اِنۡ هُمۡ اِلَّا یَخۡرُصُوۡنَ ﴿ؕ۲۰﴾

তারা আর বলে, ‘পরম করুণাময় আল্লাহ ইচ্ছা করলে আমরা এদের ইবাদত করতাম না’, এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই। তারা শুধু মনগড়া কথা বলছে।


اَمۡ اٰتَیۡنٰہُمۡ کِتٰبًا مِّنۡ قَبۡلِہٖ فَہُمۡ بِہٖ مُسۡتَمۡسِکُوۡنَ ﴿۲۱﴾

আমি কি তাদেরকে কুরআনের পূর্বে কোন কিতাব দিয়েছি, অতঃপর তারা তা দৃঢ়ভাবে ধারণ করে আছে?


بَلۡ قَالُوۡۤا اِنَّا وَجَدۡنَاۤ اٰبَآءَنَا عَلٰۤی اُمَّۃٍ وَّ اِنَّا عَلٰۤی اٰثٰرِهِمۡ مُّہۡتَدُوۡنَ ﴿۲۲﴾

বরং তারা বলে, ‘আমরা নিশ্চয় আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এক মতাদর্শের উপর পেয়েছি, আর নিশ্চয় আমরা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণে হিদায়াতপ্রাপ্ত হব’।


وَ کَذٰلِکَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ قَبۡلِکَ فِیۡ قَرۡیَۃٍ مِّنۡ نَّذِیۡرٍ اِلَّا قَالَ مُتۡرَفُوۡهَاۤ ۙ اِنَّا وَجَدۡنَاۤ اٰبَآءَنَا عَلٰۤی اُمَّۃٍ وَّ اِنَّا عَلٰۤی اٰثٰرِهِمۡ مُّقۡتَدُوۡنَ ﴿۲۳﴾

আর এভাবেই তোমাদের পূর্বে যখনই আমি কোন জনপদে সতর্ককারী পাঠিয়েছি, তখনই সেখানকার বিলাসপ্রিয়রা বলেছে, ‘নিশ্চয় আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এক মতাদর্শের উপর পেয়েছি এবং নিশ্চয় আমরা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করব’।


قٰلَ اَوَ لَوۡ جِئۡتُکُمۡ بِاَهْدٰی مِمَّا وَجَدۡتُّمۡ عَلَیۡہِ اٰبَآءَکُمۡ ؕ قَالُوۡۤا اِنَّا بِمَاۤ اُرۡسِلۡتُمۡ بِہٖ کٰفِرُوۡنَ ﴿۲۴﴾

তখন সে (সতর্ককারী) বলেছে, ‘তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষদেরকে যে মতাদর্শে পেয়েছ, আমি যদি তোমাদের কাছে তার চেয়ে উৎকৃষ্ট পথে নিয়ে আসি তবুও কি’? (তোমরা তাদের অনুসরণ করবে?) তারা বলেছে, ‘নিশ্চয় তোমাদেরকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে আমরা তার অস্বীকারকারী’।


فَانۡتَقَمۡنَا مِنۡہُمۡ فَانۡظُرۡ کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الۡمُکَذِّبِیۡنَ ﴿٪۲۵﴾

ফলে আমি তাদের থেকে প্রতিশোধ নিলাম। অতএব দেখ, মিথ্যারোপকারীদের পরিণতি কেমন হয়েছিল?


وَ اِذۡ قَالَ اِبۡرٰهِیۡمُ لِاَبِیۡہِ وَ قَوۡمِہٖۤ اِنَّنِیۡ بَرَآءٌ مِّمَّا تَعۡبُدُوۡنَ ﴿ۙ۲۶﴾

আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহীম স্বীয় পিতা ও তার কওমকে বলেছিল, ‘তোমরা যেগুলোর ইবাদাত কর, নিশ্চয় আমি তাদের থেকে সম্পর্কমুক্ত’।


اِلَّا الَّذِیۡ فَطَرَنِیۡ فَاِنَّہٗ سَیَہۡدِیۡنِ ﴿۲۷﴾

‘তবে (তিনি ছাড়া) যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর নিশ্চয় তিনি আমাকে শীঘ্রই হিদায়াত দিবেন।’


وَ جَعَلَہَا کَلِمَۃًۢ بَاقِیَۃً فِیۡ عَقِبِہٖ لَعَلَّہُمۡ یَرۡجِعُوۡنَ ﴿۲۸﴾

আর এটিকে সে তার উত্তরসূরীদের মধ্যে এক চিরন্তন বাণী বানিয়ে রেখে গেল, যাতে তারা প্রত্যাবর্তন করতে পারে।


بَلۡ مَتَّعۡتُ هٰۤؤُلَآءِ وَ اٰبَآءَهُمۡ حَتّٰی جَآءَهُمُ الۡحَقُّ وَ رَسُوۡلٌ مُّبِیۡنٌ ﴿۲۹﴾

বরং তাদের কাছে সত্য ও স্পষ্ট বর্ণনাকারী রাসূল আগমন না করা পর্যন্ত আমি তাদের এবং তাদের পিতৃপুরুষদের ভোগ করার সুযোগ দিয়েছিলাম।


وَ لَمَّا جَآءَهُمُ الۡحَقُّ قَالُوۡا هٰذَا سِحۡرٌ وَّ اِنَّا بِهٖ کٰفِرُوۡنَ ﴿۳۰﴾

অথচ যখন সত্য তাদের কাছে আসল তখন তারা বলল, ‘এতো যাদু এবং নিশ্চয় আমরা তা অস্বীকার করছি।’


وَ قَالُوۡا لَوۡ لَا نُزِّلَ هٰذَا الۡقُرۡاٰنُ عَلٰی رَجُلٍ مِّنَ الۡقَرۡیَتَیۡنِ عَظِیۡمٍ ﴿۳۱﴾

আর তারা বলল, ‘এ কুরআন কেন দুই জনপদের মধ্যকার কোন মহান ব্যক্তির উপর নাযিল করা হল না’?।


اَهُمۡ یَقۡسِمُوۡنَ رَحۡمَتَ رَبِّکَ ؕ نَحۡنُ قَسَمۡنَا بَیۡنَہُمۡ مَّعِیۡشَتَہُمۡ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا وَ رَفَعۡنَا بَعۡضَہُمۡ فَوۡقَ بَعۡضٍ دَرَجٰتٍ لِّیَتَّخِذَ بَعۡضُہُمۡ بَعۡضًا سُخۡرِیًّا ؕ وَ رَحۡمَتُ رَبِّکَ خَیۡرٌ مِّمَّا یَجۡمَعُوۡنَ ﴿۳۲﴾

তারা কি তোমার রবের রহমত ভাগ-বণ্টন করে? আমিই দুনিয়ার জীবনে তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করে দেই এবং তাদের একজনকে অপর জনের উপর মর্যাদায় উন্নীত করি যাতে একে অপরকে অধিনস্থ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। আর তারা যা সঞ্চয় করে তোমার রবের রহমত তা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট।


وَ لَوۡ لَاۤ اَنۡ یَّکُوۡنَ النَّاسُ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً لَّجَعَلۡنَا لِمَنۡ یَّکۡفُرُ بِالرَّحۡمٰنِ لِبُیُوۡتِہِمۡ سُقُفًا مِّنۡ فِضَّۃٍ وَّ مَعَارِجَ عَلَیۡہَا یَظۡہَرُوۡنَ ﴿ۙ۳۳﴾

যদি সব মানুষ একই জাতিতে পরিণত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকত, তবে যারা পরম করুণাময়ের প্রতি কুফরী করে আমি তাদের গৃহসমূহের জন্য রৌপ্যনির্মিত ছাদ ও ঊর্ধ্বে আরোহণের সিঁড়ি তৈরী করে দিতাম।


وَ لِبُیُوۡتِہِمۡ اَبۡوَابًا وَّ سُرُرًا عَلَیۡہَا یَتَّکِـُٔوۡنَ ﴿ۙ۳۴﴾

আর তাদের গৃহসমূহের জন্য দরজা ও পালঙ্ক, যাতে তারা হেলান দেয়।


وَ زُخۡرُفًا ؕ وَ اِنۡ کُلُّ ذٰلِکَ لَمَّا مَتَاعُ الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ؕ وَ الۡاٰخِرَۃُ عِنۡدَ رَبِّکَ لِلۡمُتَّقِیۡنَ ﴿٪۳۵﴾

আর তাদের জন্য স্বর্ণনির্মিত এর সব কয়টিই দুনিয়ার জীবনের ভোগ-সামগ্রী। আর আখিরাত তো তোমার রবের কাছে মুত্তাকীদের জন্য ।


وَ مَنۡ یَّعۡشُ عَنۡ ذِکۡرِ الرَّحۡمٰنِ نُقَیِّضۡ لَہٗ شَیۡطٰنًا فَہُوَ لَہٗ قَرِیۡنٌ ﴿۳۶﴾

আর যে পরম করুণাময়ের যিকির থেকে বিমুখ থাকে আমি তার জন্য এক শয়তানকে নিয়োজিত করি, ফলে সে হয়ে যায় তার সঙ্গী।


وَ اِنَّہُمۡ لَیَصُدُّوۡنَہُمۡ عَنِ السَّبِیۡلِ وَ یَحۡسَبُوۡنَ اَنَّہُمۡ مُّہۡتَدُوۡنَ ﴿۳۷﴾

আর নিশ্চয় তারাই (শয়তান) মানুষদেরকে আল্লাহর পথ থেকে বাধা দেয়। অথচ মানুষ মনে করে তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত।


حَتّٰۤی اِذَا جَآءَنَا قَالَ یٰلَیۡتَ بَیۡنِیۡ وَ بَیۡنَکَ بُعۡدَ الۡمَشۡرِقَیۡنِ فَبِئۡسَ الۡقَرِیۡنُ ﴿۳۸﴾

অবশেষে যখন সে আমার নিকট আসবে তখন সে [তার শয়তান সংগীকে উদ্দেশ্য করে] বলবে, ‘হায়, আমার ও তোমার মধ্যে যদি পূর্ব-পশ্চিমের ব্যবধান থাকত’ সুতরাং কতইনা নিকৃষ্ট সে সঙ্গী!


وَ لَنۡ یَّنۡفَعَکُمُ الۡیَوۡمَ اِذۡ ظَّلَمۡتُمۡ اَنَّکُمۡ فِی الۡعَذَابِ مُشۡتَرِکُوۡنَ ﴿۳۹﴾

আর আজ তা [তোমাদের এই অনুতাপ] তোমাদের কোন উপকারেই আসবে না। যেহেতু তোমরা যুলম করেছিলে। নিশ্চয় তোমরা আযাবে পরস্পর অংশীদার হয়ে থাকবে।


اَفَاَنۡتَ تُسۡمِعُ الصُّمَّ اَوۡ تَہۡدِی الۡعُمۡیَ وَ مَنۡ کَانَ فِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ ﴿۴۰﴾

তুমি কি বধিরকে শুনাতে পারবে অথবা হিদায়াত করতে পারবে অন্ধকে এবং তাকে যে স্পষ্ট পথভ্রষ্টতায় রয়েছে?


فَاِمَّا نَذۡهَبَنَّ بِکَ فَاِنَّا مِنۡہُمۡ مُّنۡتَقِمُوۡنَ ﴿ۙ۴۱﴾

অতঃপর যদি আমি তোমাকে নিয়ে যাই, তবে নিশ্চয় আমি তাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করব।


اَوۡ نُرِیَنَّکَ الَّذِیۡ وَعَدۡنٰہُمۡ فَاِنَّا عَلَیۡہِمۡ مُّقۡتَدِرُوۡنَ ﴿۴۲﴾

অথবা আমি তাদের যে শাস্তির ওয়াদা দিয়েছি তা যদি তোমাকে প্রত্যক্ষ করাই, তবে নিশ্চয় আমি তাদের উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান থাকব।


فَاسۡتَمۡسِکۡ بِالَّذِیۡۤ اُوۡحِیَ اِلَیۡکَ ۚ اِنَّکَ عَلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ﴿۴۳﴾

অতএব তোমার প্রতি যা ওহী করা হয়েছে তাকে তুমি সুদৃঢ়ভাবে ধারণ কর। নিশ্চয় তুমি সরল পথের উপর রয়েছ।


وَ اِنَّہٗ لَذِکۡرٌ لَّکَ وَ لِقَوۡمِکَ ۚ وَ سَوۡفَ تُسۡـَٔلُوۡنَ ﴿۴۴﴾

নিশ্চয় এ কুরআন তোমার জন্য এবং তোমার কওমের জন্য উপদেশ। আর অচিরেই তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে।


وَ سۡـَٔلۡ مَنۡ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ قَبۡلِکَ مِنۡ رُّسُلِنَاۤ اَجَعَلۡنَا مِنۡ دُوۡنِ الرَّحۡمٰنِ اٰلِـہَۃً یُّعۡبَدُوۡنَ ﴿٪۴۵﴾

আর তোমার পূর্বে আমি রাসূলগণ থেকে যাদের প্রেরণ করেছিলাম তুমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে দেখ, আমি কি রহমানের পরিবর্তে অন্য কোন উপাস্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম, যাদের ইবাদাত করা যাবে?


وَ لَقَدۡ اَرۡسَلۡنَا مُوۡسٰی بِاٰیٰتِنَاۤ اِلٰی فِرۡعَوۡنَ وَ مَلَا۠ئِہٖ فَقَالَ اِنِّیۡ رَسُوۡلُ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۴۶﴾

আর অবশ্যই আমি মূসাকে আমার নিদর্শনাবলী দিয়ে ফির‘আউন ও তার নেতৃবর্গের নিকট প্রেরণ করেছিলাম। সে বলেছিল, ‘নিশ্চয় আমি সৃষ্টিকুলের রবের একজন রাসূল’


فَلَمَّا جَآءَهُمۡ بِاٰیٰتِنَاۤ اِذَا هُمۡ مِّنۡہَا یَضۡحَکُوۡنَ ﴿۴۷﴾

অতঃপর যখন সে আমার নিদর্শনাবলী নিয়ে তাদের কাছে আসল, তখন তারা তা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করতে লাগল।


وَ مَا نُرِیۡہِمۡ مِّنۡ اٰیَۃٍ اِلَّا هِیَ اَکۡبَرُ مِنۡ اُخۡتِہَا ۫ وَ اَخَذۡنٰہُمۡ بِالۡعَذَابِ لَعَلَّہُمۡ یَرۡجِعُوۡنَ ﴿۴۸﴾

আমি তাদের যে নিদর্শনই দেখাইনা কেন তা ছিল তার অনুরূপ নিদর্শন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর। আর আমি তাদেরকে আযাবের মাধ্যমে পাকড়াও করলাম, যাতে তারা ফিরে আসে।


وَ قَالُوۡا یٰۤاَیُّہَ السّٰحِرُ ادۡعُ لَنَا رَبَّکَ بِمَا عَہِدَ عِنۡدَکَ ۚ اِنَّنَا لَمُہۡتَدُوۡنَ ﴿۴۹﴾

আর তারা বলল, ‘হে যাদুকর, তোমার রবের কাছে তুমি আমাদের জন্য তাই প্রার্থনা কর, যার ওয়াদা তিনি তোমার সাথে করেছেন। নিশ্চয় আমরা হিদায়াতের পথে আসব।’


فَلَمَّا کَشَفۡنَا عَنۡہُمُ الۡعَذَابَ اِذَا هُمۡ یَنۡکُثُوۡنَ ﴿۵۰﴾

অতঃপর যখন আমি তাদের থেকে আযাব সরিয়ে নিলাম, তখনই তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে বসল।


وَ نَادٰی فِرۡعَوۡنُ فِیۡ قَوۡمِهٖ قَالَ یٰقَوۡمِ اَلَیۡسَ لِیۡ مُلۡکُ مِصۡرَ وَ هٰذِهِ الۡاَنۡهٰرُ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِیۡ ۚ اَفَلَا تُبۡصِرُوۡنَ ﴿ؕ۵۱﴾

আর ফির‘আউন তার কওমের মধ্যে ঘোষণা দিয়ে বলল, ‘হে আমার কওম, মিসরের রাজত্ব কি আমার নয়? আর এ সব নদ-নদী কি আমার পাদদেশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে না, তোমরা কি দেখছ না’?


اَمۡ اَنَا خَیۡرٌ مِّنۡ هٰذَا الَّذِیۡ هُوَ مَهِیۡنٌ ۬ۙ وَّ لَا یَکَادُ یُبِیۡنُ ﴿۵۲﴾

‘আমি কি এই ব্যক্তি থেকে শ্রেষ্ঠ নই, যে হীন এবং স্পষ্ট বর্ণনা করতে প্রায় অক্ষম’?


فَلَوۡ لَاۤ اُلۡقِیَ عَلَیۡہِ اَسۡوِرَۃٌ مِّنۡ ذَهَبٍ اَوۡ جَآءَ مَعَہُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ مُقۡتَرِنِیۡنَ ﴿۵۳﴾

‘তবে তাকে কেন স্বর্ণবলয় প্রদান করা হল না অথবা দলবদ্ধভাবে ফেরেশতাগণ তার সাথে কেন আসল না?’


فَاسۡتَخَفَّ قَوۡمَہٗ فَاَطَاعُوۡہُ ؕ اِنَّہُمۡ کَانُوۡا قَوۡمًا فٰسِقِیۡنَ ﴿۵۴﴾

এভাবেই সে তার কওমকে বোকা বানালো, ফলে তারা তার আনুগত্য করল। নিশ্চয় তারা ছিল এক ফাসিক কওম।


فَلَمَّاۤ اٰسَفُوۡنَا انۡتَقَمۡنَا مِنۡہُمۡ فَاَغۡرَقۡنٰہُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿ۙ۵۵﴾

তারপর যখন তারা আমাকে ক্রোধান্বিত করল, তখন আমি তাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করলাম এবং তাদের সকলকে নিমজ্জিত করে দিলাম।


فَجَعَلۡنٰہُمۡ سَلَفًا وَّ مَثَلًا لِّلۡاٰخِرِیۡنَ ﴿٪۵۶﴾

ফলে আমি তাদেরকে পরবর্তীদের জন্য অতীত ইতিহাস ও দৃষ্টান্ত বানালাম।


وَ لَمَّا ضُرِبَ ابۡنُ مَرۡیَمَ مَثَلًا اِذَا قَوۡمُکَ مِنۡہُ یَصِدُّوۡنَ ﴿۵۷﴾

আর যখনই মারইয়াম পুত্রকে দৃষ্টান্তস্বরূপ পেশ করা হয়, তখন তোমার কওম শোরগোল শুরু করে দেয়।


وَ قَالُوۡۤاءَ اٰلِہَتُنَا خَیۡرٌ اَمۡ هُوَ ؕ مَا ضَرَبُوۡہُ لَکَ اِلَّا جَدَلًا ؕ بَلۡ هُمۡ قَوۡمٌ خَصِمُوۡنَ ﴿۵۸﴾

আর তারা বলে, ‘আমাদের উপাস্যরা শ্রেষ্ঠ নাকি ঈসা’? তারা কেবল কূটতর্কের খাতিরেই তাকে তোমার সামনে পেশ করে। বরং এরাই এক ঝগড়াটে সম্প্রদায়।


اِنۡ هُوَ اِلَّا عَبۡدٌ اَنۡعَمۡنَا عَلَیۡہِ وَ جَعَلۡنٰہُ مَثَلًا لِّبَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ ﴿ؕ۵۹﴾

সে কেবল আমার এক বান্দা। আমি তার উপর অনুগ্রহ করেছিলাম এবং বনী ইসরাঈলের জন্য তাকে দৃষ্টান্ত বানিয়েছিলাম।


وَ لَوۡ نَشَآءُ لَجَعَلۡنَا مِنۡکُمۡ مَّلٰٓئِکَۃً فِی الۡاَرۡضِ یَخۡلُفُوۡنَ ﴿۶۰﴾

আর যদি আমি চাইতাম, তবে আমি তোমাদের পরিবর্তে ফেরেশতা সৃষ্টি করে পাঠাতাম যারা যমীনে তোমাদের উত্তরাধিকার হত।


وَ اِنَّهٗ لَعِلۡمٌ لِّلسَّاعَۃِ فَلَا تَمۡتَرُنَّ بِهَا وَ اتَّبِعُوۡنِ ؕ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسۡتَقِیۡمٌ ﴿۶۱﴾

আর নিশ্চয় সে (ঈসা) হবে কিয়ামতের এক সুনিশ্চিত আলামত। সুতরাং তোমরা কিয়ামত সম্পর্কে সংশয় পোষণ করো না। তোমরা আমারই অনুসরণ কর। এটিই সরল পথ।


وَ لَا یَصُدَّنَّکُمُ الشَّیۡطٰنُ ۚ اِنَّہٗ لَکُمۡ عَدُوٌّ مُّبِیۡنٌ ﴿۶۲﴾

শয়তান যেন তোমাদের কিছুতেই বাধা দিতে না পারে। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।


وَ لَمَّا جَآءَ عِیۡسٰی بِالۡبَیِّنٰتِ قَالَ قَدۡ جِئۡتُکُمۡ بِالۡحِکۡمَۃِ وَ لِاُبَیِّنَ لَکُمۡ بَعۡضَ الَّذِیۡ تَخۡتَلِفُوۡنَ فِیۡہِ ۚ فَاتَّقُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوۡنِ ﴿۶۳﴾

আর যখন ঈসা সুস্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আসল, তখন সে বলল, ‘আমি অবশ্যই তোমাদের কাছে হিকমত নিয়ে এসেছি এবং এসেছি তোমরা যে কতক বিষয়ে মতবিরোধে লিপ্ত তা স্পষ্ট করে দিতে। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর’।


اِنَّ اللّٰهَ هُوَ رَبِّیۡ وَ رَبُّکُمۡ فَاعۡبُدُوۡهُ ؕ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسۡتَقِیۡمٌ ﴿۶۴﴾

‘নিশ্চয় আল্লাহ, তিনিই আমার রব ও তোমাদের রব। অতএব তাঁর ইবাদাত কর; এটিই সরল পথ’।


فَاخۡتَلَفَ الۡاَحۡزَابُ مِنۡۢ بَیۡنِہِمۡ ۚ فَوَیۡلٌ لِّلَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا مِنۡ عَذَابِ یَوۡمٍ اَلِیۡمٍ ﴿۶۵﴾

অতঃপর তাদের মধ্যকার কতগুলি দল মতভেদ করেছিল। সুতরাং যালিমদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক দিনের আযাবের দুর্ভোগ!


هَلۡ یَنۡظُرُوۡنَ اِلَّا السَّاعَۃَ اَنۡ تَاۡتِیَہُمۡ بَغۡتَۃً وَّ هُمۡ لَا یَشۡعُرُوۡنَ ﴿۶۶﴾

তারা তো তাদের অজ্ঞাতসারে অকস্মাৎ কিয়ামত আসার অপেক্ষা করছে।


اَلۡاَخِلَّآءُ یَوۡمَئِذٍۭ بَعۡضُہُمۡ لِبَعۡضٍ عَدُوٌّ اِلَّا الۡمُتَّقِیۡنَ ﴿ؕ٪۶۷﴾

সেদিন বন্ধুরা একে অন্যের শত্রু হবে, মুত্তাকীরা ছাড়া।


یٰعِبَادِ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡکُمُ الۡیَوۡمَ وَ لَاۤ اَنۡتُمۡ تَحۡزَنُوۡنَ ﴿ۚ۶۸﴾

হে আমার বান্দাগণ, আজ তোমাদের কোন ভয় নেই এবং তোমরা চিন্তিতও হবে না।


اَلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِاٰیٰتِنَا وَ کَانُوۡا مُسۡلِمِیۡنَ ﴿ۚ۶۹﴾

যারা আমার আয়াতে ঈমান এনেছিল এবং যারা ছিল মুসলিম।


اُدۡخُلُوا الۡجَنَّۃَ اَنۡتُمۡ وَ اَزۡوَاجُکُمۡ تُحۡبَرُوۡنَ ﴿۷۰﴾

তোমরা সস্ত্রীক সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর।


یُطَافُ عَلَیۡہِمۡ بِصِحَافٍ مِّنۡ ذَهَبٍ وَّ اَکۡوَابٍ ۚ وَ فِیۡہَا مَا تَشۡتَہِیۡہِ الۡاَنۡفُسُ وَ تَلَذُّ الۡاَعۡیُنُ ۚ وَ اَنۡتُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿ۚ۷۱﴾

স্বর্ণখচিত থালা ও পানপাত্র নিয়ে তাদেরকে প্রদক্ষিণ করা হবে, সেখানে মন যা চায় আর যাতে চোখ তৃপ্ত হয় তা-ই থাকবে এবং সেখানে তোমরা হবে স্থায়ী।


وَ تِلۡکَ الۡجَنَّۃُ الَّتِیۡۤ اُوۡرِثۡتُمُوۡهَا بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۷۲﴾

আর এটিই জান্নাত, নিজদের আমলের ফলস্বরূপ তোমাদেরকে এর অধিকারী করা হয়েছে।


لَکُمۡ فِیۡہَا فَاکِہَۃٌ کَثِیۡرَۃٌ مِّنۡہَا تَاۡکُلُوۡنَ ﴿۷۳﴾

সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে অনেক ফলমূল, যা থেকে তোমরা খাবে।


اِنَّ الۡمُجۡرِمِیۡنَ فِیۡ عَذَابِ جَہَنَّمَ خٰلِدُوۡنَ ﴿ۚۖ۷۴﴾

নিশ্চয় অপরাধীরা জাহান্নামের আযাবে স্থায়ী হবে;


لَا یُفَتَّرُ عَنۡہُمۡ وَ هُمۡ فِیۡہِ مُبۡلِسُوۡنَ ﴿ۚ۷۵﴾

তাদের থেকে আযাব কমানো হবে না এবং তাতে তারা হতাশ হয়ে পড়বে।


وَ مَا ظَلَمۡنٰہُمۡ وَ لٰکِنۡ کَانُوۡا هُمُ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۷۶﴾

আর আমি তাদের উপর যুলম করিনি; কিন্তু তারাই ছিল যালিম।


وَ نَادَوۡا یٰمٰلِکُ لِیَقۡضِ عَلَیۡنَا رَبُّکَ ؕ قَالَ اِنَّکُمۡ مّٰکِثُوۡنَ ﴿۷۷﴾

তারা চিৎকার করে বলবে, ‘হে মালিক, তোমার রব যেন আমাদেরকে শেষ করে দেন’। সে বলবে, ‘নিশ্চয় তোমরা অবস্থানকারী’।


لَقَدۡ جِئۡنٰکُمۡ بِالۡحَقِّ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَکُمۡ لِلۡحَقِّ کٰرِہُوۡنَ ﴿۷۸﴾

‘অবশ্যই তোমাদের কাছে আমি সত্য নিয়ে এসেছিলাম; কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই ছিলে সত্য অপছন্দকারী।


اَمۡ اَبۡرَمُوۡۤا اَمۡرًا فَاِنَّا مُبۡرِمُوۡنَ ﴿ۚ۷۹﴾

না কি তারা কোন ব্যাপারে পাকা সিদ্ধান্ত নিয়েছে? নিশ্চয় আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকারী।


اَمۡ یَحۡسَبُوۡنَ اَنَّا لَا نَسۡمَعُ سِرَّهُمۡ وَ نَجۡوٰىہُمۡ ؕ بَلٰی وَ رُسُلُنَا لَدَیۡہِمۡ یَکۡتُبُوۡنَ ﴿۸۰﴾

না কি তারা মনে করে, আমি তাদের গোপনীয় বিষয় ও নিভৃত সলাপরামর্শ শুনতে পাই না? অবশ্যই হ্যাঁ, আর আমার ফেরেশতাগণ তাদের কাছে থেকে লিখছে।


قُلۡ اِنۡ کَانَ لِلرَّحۡمٰنِ وَلَدٌ ٭ۖ فَاَنَا اَوَّلُ الۡعٰبِدِیۡنَ ﴿۸۱﴾

বল, ‘রহমানের যদি সন্তান থাকত তবে আমি প্রথম তাঁর ইবাদাতকারী হতাম।


سُبۡحٰنَ رَبِّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ رَبِّ الۡعَرۡشِ عَمَّا یَصِفُوۡنَ ﴿۸۲﴾

তারা যা আরোপ করে, আসমানসমূহ ও যমীনের রব এবং আরশের রব তা থেকে পবিত্র-মহান।


فَذَرۡهُمۡ یَخُوۡضُوۡا وَ یَلۡعَبُوۡا حَتّٰی یُلٰقُوۡا یَوۡمَہُمُ الَّذِیۡ یُوۡعَدُوۡنَ ﴿۸۳﴾

অতএব তাদেরকে ছেড়ে দাও, তারা মগ্ন থাকুক বেহুদা কথায় আর খেল-তামাশায় মত্ত থাকুক যতক্ষণ না সেদিনের সাথে তারা সাক্ষাৎ করে যার প্রতিশ্রুতি তাদেরকে দেয়া হয়েছে।


وَ هُوَ الَّذِیۡ فِی السَّمَآءِ اِلٰہٌ وَّ فِی الۡاَرۡضِ اِلٰہٌ ؕ وَ هُوَ الۡحَکِیۡمُ الۡعَلِیۡمُ ﴿۸۴﴾

আর তিনিই আসমানে ইলাহ এবং তিনিই যমীনে ইলাহ; আর তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ।


وَ تَبٰرَکَ الَّذِیۡ لَہٗ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا بَیۡنَہُمَا ۚ وَ عِنۡدَہٗ عِلۡمُ السَّاعَۃِ ۚ وَ اِلَیۡہِ تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۸۵﴾

আর তিনি বরকতময়, যার কর্তৃত্বে রয়েছে আসমানসমূহ, যমীন ও এ দু’য়ের মধ্যবর্তী সবকিছু; আর কিয়ামতের জ্ঞান কেবল তাঁরই আছে এবং তাঁরই নিকট তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।


وَ لَا یَمۡلِکُ الَّذِیۡنَ یَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِہِ الشَّفَاعَۃَ اِلَّا مَنۡ شَہِدَ بِالۡحَقِّ وَ هُمۡ یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۸۶﴾

আর তিনি ছাড়া যাদেরকে তারা আহবান করে তারা সুপারিশের মালিক হবে না; তবে তারা ছাড়া যারা জেনে-শুনে সত্য সাক্ষ্য দেয় ।


وَ لَئِنۡ سَاَلۡتَہُمۡ مَّنۡ خَلَقَہُمۡ لَیَقُوۡلُنَّ اللّٰہُ فَاَنّٰی یُؤۡفَکُوۡنَ ﴿ۙ۸۷﴾

আর তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, ‘আল্লাহ।’ তবু তারা কীভাবে বিমুখ হয়?


وَ قِیۡلِهٖ یٰرَبِّ اِنَّ هٰۤؤُلَآءِ قَوۡمٌ لَّا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿ۘ۸۸﴾

আর তার (রাসূলের) বাণী ‘হে আমার রব, নিশ্চয় এরা এমন কওম যারা ঈমান আনবে না।’


فَاصۡفَحۡ عَنۡہُمۡ وَ قُلۡ سَلٰمٌ ؕ فَسَوۡفَ یَعۡلَمُوۡنَ ﴿٪۸۹﴾

অতএব তুমি তাদেরকে এড়িয়ে চল এবং বল, ‘সালাম’; তবে তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।