70

আল-মাআরিজ

আয়াত সংখ্যা 44

0.00

3:26

سَاَلَ سَآئِلٌۢ بِعَذَابٍ وَّاقِعٍ ۙ﴿۱﴾

এক প্রশ্নকারী জিজ্ঞাসা করল এমন আযাব সম্পর্কে, যা আপতিত হবে-


لِّلۡکٰفِرِیۡنَ لَیۡسَ لَہٗ دَافِعٌ ۙ﴿۲﴾

কাফিরদের উপর, যার কোন প্রতিরোধকারী নেই।


مِّنَ اللّٰہِ ذِی الۡمَعَارِجِ ؕ﴿۳﴾

এটা আসবে আল্লাহর কাছ থেকে, যিনি উর্ধ্বারোহনের সোপানসমূহের অধিকারী।


تَعۡرُجُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ وَ الرُّوۡحُ اِلَیۡہِ فِیۡ یَوۡمٍ کَانَ مِقۡدَارُہٗ خَمۡسِیۡنَ اَلۡفَ سَنَۃٍ ۚ﴿۴﴾

ফেরেশতাগণ ও রূহ এমন এক দিনে আল্লাহর পানে ঊর্ধ্বগামী হয়, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।


فَاصۡبِرۡ صَبۡرًا جَمِیۡلًا ﴿۵﴾

অতএব তুমি উত্তমরূপে ধৈর্যধারণ কর।


اِنَّہُمۡ یَرَوۡنَہٗ بَعِیۡدًا ۙ﴿۶﴾

তারা তো এটিকে সুদূরপরাহত মনে করে।


وَّ نَرٰىہُ قَرِیۡبًا ؕ﴿۷﴾

কিন্তু আমি দেখিতেছি ইহা আসন্ন।


یَوۡمَ تَکُوۡنُ السَّمَآءُ کَالۡمُہۡلِ ۙ﴿۸﴾

আর আমি দেখছি তা আসন্ন।


وَ تَکُوۡنُ الۡجِبَالُ کَالۡعِہۡنِ ۙ﴿۹﴾

এবং পর্বতসমূহ হবে রঙ্গীন পশমের মত,


وَ لَا یَسۡـَٔلُ حَمِیۡمٌ حَمِیۡمًا ﴿ۚۖ۱۰﴾

বন্ধু বন্ধুর খবর নিবে না,


یُّبَصَّرُوۡنَہُمۡ ؕ یَوَدُّ الۡمُجۡرِمُ لَوۡ یَفۡتَدِیۡ مِنۡ عَذَابِ یَوۡمِئِذٍۭ بِبَنِیۡہِ ﴿ۙ۱۱﴾

তাদেরকে একে অপরের দৃষ্টিগোচর করা হবে। অপরাধী চাইবে যদি সে সেদিনের শাস্তি থেকে তার সন্তান-সন্ততিকে পণ হিসেবে দিয়ে মুক্তি পেতে,


وَ صَاحِبَتِہٖ وَ اَخِیۡہِ ﴿ۙ۱۲﴾

আর তার স্ত্রী ও ভাইকে,


وَ فَصِیۡلَتِہِ الَّتِیۡ تُــٔۡوِیۡہِ ﴿ۙ۱۳﴾

তার জ্ঞাতি-গোষ্ঠীকে, যারা তাকে আশ্রয় দিত


وَ مَنۡ فِی الۡاَرۡضِ جَمِیۡعًا ۙ ثُمَّ یُنۡجِیۡہِ ﴿ۙ۱۴﴾

আর যমীনে যারা আছে তাদের সবাইকে, তারপর যাতে এটি তাকে মুক্তি দেয়।


کَلَّا ؕ اِنَّہَا لَظٰی ﴿ۙ۱۵﴾

না, কক্ষনো নয়, ওটা জ্বলন্ত অগ্নিশিখা,


نَزَّاعَۃً لِّلشَّوٰی ﴿ۚۖ۱۶﴾

যা মাথার চামড়া খসিয়ে নেবে।


تَدۡعُوۡا مَنۡ اَدۡبَرَ وَ تَوَلّٰی ﴿ۙ۱۷﴾

জাহান্নাম তাকে ডাকবে যে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছিল এবং মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল ।


وَ جَمَعَ فَاَوۡعٰی ﴿۱۸﴾

আর সম্পদ জমা করেছিল, অতঃপর তা সংরক্ষণ করে রেখেছিল।


اِنَّ الۡاِنۡسَانَ خُلِقَ هَلُوۡعًا ﴿ۙ۱۹﴾

মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে খুবই অস্থির-মনা করে,


اِذَا مَسَّہُ الشَّرُّ جَزُوۡعًا ﴿ۙ۲۰﴾

বিপদ তাকে স্পর্শ করলে সে হয় উৎকণ্ঠিত,


وَّ اِذَا مَسَّہُ الۡخَیۡرُ مَنُوۡعًا ﴿ۙ۲۱﴾

কল্যাণ তাকে স্পর্শ করলে সে হয়ে পড়ে অতি কৃপণ,


اِلَّا الۡمُصَلِّیۡنَ ﴿ۙ۲۲﴾

তবে নামায আদায়কারীরা এ রকম নয়,


الَّذِیۡنَ هُمۡ عَلٰی صَلَاتِہِمۡ دَآئِمُوۡنَ ﴿۪ۙ۲۳﴾

যারা তাদের সালাতে সদা প্রতিষ্ঠিত,


وَ الَّذِیۡنَ فِیۡۤ اَمۡوَالِہِمۡ حَقٌّ مَّعۡلُوۡمٌ ﴿۪ۙ۲۴﴾

আর যাদের সম্পদে নির্ধারিত হক রয়েছে।


لِّلسَّآئِلِ وَ الۡمَحۡرُوۡمِ ﴿۪ۙ۲۵﴾

প্রার্থী এবং বঞ্চিতদের,


وَ الَّذِیۡنَ یُصَدِّقُوۡنَ بِیَوۡمِ الدِّیۡنِ ﴿۪ۙ۲۶﴾

এবং যারা কর্মফল দিবসকে সত্য বলে জানে।


وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ مِّنۡ عَذَابِ رَبِّہِمۡ مُّشۡفِقُوۡنَ ﴿ۚ۲۷﴾

আর যারা তাদের প্রতিপালকের শাস্তি সম্পর্কে ভীতসন্ত্রস্ত-


اِنَّ عَذَابَ رَبِّہِمۡ غَیۡرُ مَاۡمُوۡنٍ ﴿۲۸﴾

তাদের প্রতিপালকের শাস্তি এমন যে থেকে নিজেকে নিরাপদ ভাবা যায় না,


وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ لِفُرُوۡجِہِمۡ حٰفِظُوۡنَ ﴿ۙ۲۹﴾

যারা নিজেদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে


اِلَّا عَلٰۤی اَزۡوَاجِہِمۡ اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُہُمۡ فَاِنَّہُمۡ غَیۡرُ مَلُوۡمِیۡنَ ﴿ۚ۳۰﴾

তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যাদের মালিক হয়েছে সে দাসীগণের ক্ষেত্র ছাড়া। তাহলে তারা সে ক্ষেত্রে নিন্দনীয় হবে না।


فَمَنِ ابۡتَغٰی وَرَآءَ ذٰلِکَ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الۡعٰدُوۡنَ ﴿ۚ۳۱﴾

তবে যে কেউ এদের বাইরে অন্যকে কামনা করে, তারাই তো সীমালংঘনকারী।


وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ لِاَمٰنٰتِہِمۡ وَ عَہۡدِهِمۡ رٰعُوۡنَ ﴿۪ۙ۳۲﴾

আর যারা নিজদের আমানত ও ওয়াদা রক্ষাকারী,


وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ بِشَہٰدٰتِہِمۡ قَآئِمُوۡنَ ﴿۪ۙ۳۳﴾

আর যারা তাদের সাক্ষ্যদানে অটল,


وَ الَّذِیۡنَ هُمۡ عَلٰی صَلَاتِہِمۡ یُحَافِظُوۡنَ ﴿ؕ۳۴﴾

এবং নিজেদের সালাতে যত্নবান-


اُولٰٓئِکَ فِیۡ جَنّٰتٍ مُّکۡرَمُوۡنَ ﴿ؕ٪۳۵﴾

তারাই সম্মানিত হবে জান্নাতে।


فَمَالِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا قِبَلَکَ مُہۡطِعِیۡنَ ﴿ۙ۳۶﴾

কাফিরদের হল কি যে, তারা তোমার দিকে ছুটিয়া আসছে


عَنِ الۡیَمِیۡنِ وَ عَنِ الشِّمَالِ عِزِیۡنَ ﴿۳۷﴾

দক্ষিণ ও বাম দিক থেকে, দলে দলে।


اَیَطۡمَعُ کُلُّ امۡرِیًٔ مِّنۡہُمۡ اَنۡ یُّدۡخَلَ جَنَّۃَ نَعِیۡمٍ ﴿ۙ۳۸﴾

তাদের প্রত্যেক ব্যক্তি কি আশা করে যে, তাকে প্রাচুর্যময় জান্নাতে দাখিল করা হবে?


کَلَّا ؕ اِنَّا خَلَقۡنٰہُمۡ مِّمَّا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۳۹﴾

কখনো নয়, নিশ্চয় আমি তাদেরকে সৃষ্টি করেছি তারা যা জানে তা থেকে।


فَلَاۤ اُقۡسِمُ بِرَبِّ الۡمَشٰرِقِ وَ الۡمَغٰرِبِ اِنَّا لَقٰدِرُوۡنَ ﴿ۙ۴۰﴾

আমি শপথ করছি উদয়স্থানসমূহের ও অস্তাচলসমূহের রবেবর-আমি অবশ্যই সক্ষম,


عَلٰۤی اَنۡ نُّبَدِّلَ خَیۡرًا مِّنۡہُمۡ ۙ وَ مَا نَحۡنُ بِمَسۡبُوۡقِیۡنَ ﴿۴۱﴾

তাদের চাইতে উত্তমদেরকে তাদের স্থলে নিয়ে আসতে এবং আমি অক্ষম নই।


فَذَرۡهُمۡ یَخُوۡضُوۡا وَ یَلۡعَبُوۡا حَتّٰی یُلٰقُوۡا یَوۡمَہُمُ الَّذِیۡ یُوۡعَدُوۡنَ ﴿ۙ۴۲﴾

অতএব তাদেরকে ছেড়ে দাও, তারা (বেহুদা কথায়) মত্ত থাকুক আর খেল-তামাশা করুক যতক্ষণ না তারা দেখা পায় সেদিনের, যার প্রতিশ্রুতি তাদেরকে দেয়া হয়েছে।


یَوۡمَ یَخۡرُجُوۡنَ مِنَ الۡاَجۡدَاثِ سِرَاعًا کَاَنَّہُمۡ اِلٰی نُصُبٍ یُّوۡفِضُوۡنَ ﴿ۙ۴۳﴾

যেদিন দ্রুতবেগে তারা কবর থেকে বের হয়ে আসবে, যেন তারা কোন লক্ষ্যের দিকে ছুটছে,


خَاشِعَۃً اَبۡصَارُهُمۡ تَرۡهَقُہُمۡ ذِلَّۃٌ ؕ ذٰلِکَ الۡیَوۡمُ الَّذِیۡ کَانُوۡا یُوۡعَدُوۡنَ ﴿٪۴۴﴾

অবনত চোখে। লাঞ্ছনা তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে! এটিই সেদিন যার ওয়াদা তাদেরকে দেয়া হয়েছিল।