عَبَسَ وَ تَوَلّٰۤی ۙ﴿۱﴾
(নবী) মুখ ভার করল আর মুখ ঘুরিয়ে নিল।
اَنۡ جَآءَہُ الۡاَعۡمٰی ؕ﴿۲﴾
(কারণ সে যখন কুরাইশ সরদারদের সাথে আলোচনায় রত ছিল তখন) তার কাছে এক অন্ধ ব্যক্তি আসল।
وَ مَا یُدۡرِیۡکَ لَعَلَّہٗ یَزَّکّٰۤی ۙ﴿۳﴾
আর কিসে তোমাকে জানাবে যে, সে হয়ত পরিশুদ্ধ হত।
اَوۡ یَذَّکَّرُ فَتَنۡفَعَہُ الذِّکۡرٰی ؕ﴿۴﴾
অথবা উপদেশ গ্রহণ করত, ফলে সে উপদেশ তার উপকারে আসত।
اَمَّا مَنِ اسۡتَغۡنٰی ۙ﴿۵﴾
আর যে বেপরোয়া হয়েছে,
فَاَنۡتَ لَہٗ تَصَدّٰی ؕ﴿۶﴾
তুমি তার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছ।
وَ مَا عَلَیۡکَ اَلَّا یَزَّکّٰی ؕ﴿۷﴾
অথচ সে পরিশুদ্ধ না হলে তোমার কোন দায়িত্ব বর্তাবে না।
وَ اَمَّا مَنۡ جَآءَکَ یَسۡعٰی ۙ﴿۸﴾
পক্ষান্তরে যে তোমার কাছে ছুটে আসল,
وَ هُوَ یَخۡشٰی ۙ﴿۹﴾
আর সে ভয়ও করে,
فَاَنۡتَ عَنۡہُ تَلَہّٰی ﴿ۚ۱۰﴾
অথচ তুমি তার প্রতি উদাসীন হলে।
کَلَّاۤ اِنَّہَا تَذۡکِرَۃٌ ﴿ۚ۱۱﴾
কখনো নয়, নিশ্চয় এটা উপদেশ বাণী।
فَمَنۡ شَآءَ ذَکَرَہٗ ﴿ۘ۱۲﴾
কাজেই যে ইচ্ছা করবে, সে তা স্মরণ রাখবে।
فِیۡ صُحُفٍ مُّکَرَّمَۃٍ ﴿ۙ۱۳﴾
এটা আছে সম্মানিত সহীফাসমূহে।
مَّرۡفُوۡعَۃٍ مُّطَہَّرَۃٍۭ ﴿ۙ۱۴﴾
সমুন্নত, পবিত্র,
بِاَیۡدِیۡ سَفَرَۃٍ ﴿ۙ۱۵﴾
লেখকদের হাতে,
کِرَامٍۭ بَرَرَۃٍ ﴿ؕ۱۶﴾
যারা মহাসম্মানিত, অনুগত।
قُتِلَ الۡاِنۡسَانُ مَاۤ اَکۡفَرَہٗ ﴿ؕ۱۷﴾
মানুষ ধ্বংস হোক, সে কতইনা অকৃতজ্ঞ!
مِنۡ اَیِّ شَیۡءٍ خَلَقَہٗ ﴿ؕ۱۸﴾
তিনি তাকে কোন বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন?
مِنۡ نُّطۡفَۃٍ ؕ خَلَقَہٗ فَقَدَّرَہٗ ﴿ۙ۱۹﴾
শুক্র বিন্দু থেকে তিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তাকে সুগঠিত করেছেন।
ثُمَّ السَّبِیۡلَ یَسَّرَہٗ ﴿ۙ۲۰﴾
তারপর তিনি তার পথ সহজ করে দিয়েছেন।
ثُمَّ اَمَاتَہٗ فَاَقۡبَرَہٗ ﴿ۙ۲۱﴾
তারপর তিনি তাকে মৃত্যু দেন এবং তাকে কবরস্থ করেন।
ثُمَّ اِذَا شَآءَ اَنۡشَرَہٗ ﴿ؕ۲۲﴾
তারপর যখন তিনি ইচ্ছা করবেন, তাকে পুনর্জীবিত করবেন।
کَلَّا لَمَّا یَقۡضِ مَاۤ اَمَرَہٗ ﴿ؕ۲۳﴾
কখনো নয়, তিনি তাকে যে আদেশ দিয়েছিলেন, সে এখনো তা পূর্ণ করেনি।
فَلۡیَنۡظُرِ الۡاِنۡسَانُ اِلٰی طَعَامِہٖۤ ﴿ۙ۲۴﴾
কাজেই মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক।
اَنَّا صَبَبۡنَا الۡمَآءَ صَبًّا ﴿ۙ۲۵﴾
নিশ্চয় আমি প্রচুর পরিমাণে পানি বর্ষণ করি।
ثُمَّ شَقَقۡنَا الۡاَرۡضَ شَقًّا ﴿ۙ۲۶﴾
তারপর যমীনকে যথাযথভাবে বিদীর্ণ করি।
فَاَنۡۢبَتۡنَا فِیۡہَا حَبًّا ﴿ۙ۲۷﴾
অতঃপর তাতে আমি উৎপন্ন করি শস্য,
وَّ عِنَبًا وَّ قَضۡبًا ﴿ۙ۲۸﴾
আঙ্গুর ও শাক-সবজি,
وَّ زَیۡتُوۡنًا وَّ نَخۡلًا ﴿ۙ۲۹﴾
যায়তূন ও খেজুর বন,
وَّ حَدَآئِقَ غُلۡبًا ﴿ۙ۳۰﴾
ঘনবৃক্ষ শোভিত বাগ-বাগিচা,
وَّ فَاکِہَۃً وَّ اَبًّا ﴿ۙ۳۱﴾
আর ফল ও তৃণগুল্ম।
مَّتَاعًا لَّکُمۡ وَ لِاَنۡعَامِکُمۡ ﴿ؕ۳۲﴾
তোমাদের ও তোমাদের চতুষ্পদ জন্তুগুলোর জীবনোপকরণস্বরূপ।
فَاِذَا جَآءَتِ الصَّآخَّۃُ ﴿۫۳۳﴾
অবশেষে যখন কান-ফাটানো শব্দ আসবে;
یَوۡمَ یَفِرُّ الۡمَرۡءُ مِنۡ اَخِیۡہِ ﴿ۙ۳۴﴾
সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই থেকে,
وَ اُمِّہٖ وَ اَبِیۡہِ ﴿ۙ۳۵﴾
তার মা ও তার বাবা থেকে,
وَ صَاحِبَتِہٖ وَ بَنِیۡہِ ﴿ؕ۳۶﴾
তার স্ত্রী ও তার সন্তান-সন্ততি থেকে।
لِکُلِّ امۡرِیًٔ مِّنۡہُمۡ یَوۡمَئِذٍ شَاۡنٌ یُّغۡنِیۡہِ ﴿ؕ۳۷﴾
সেদিন তাদের প্রত্যেকেরই একটি গুরুতর অবস্থা থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে।
وُجُوۡہٌ یَّوۡمَئِذٍ مُّسۡفِرَۃٌ ﴿ۙ۳۸﴾
সেদিন কিছু কিছু চেহারা উজ্জ্বল হবে।
ضَاحِکَۃٌ مُّسۡتَبۡشِرَۃٌ ﴿ۚ۳۹﴾
সহাস্য, প্রফুল্ল।
وَ وُجُوۡہٌ یَّوۡمَئِذٍ عَلَیۡہَا غَبَرَۃٌ ﴿ۙ۴۰﴾
আর কিছু কিছু চেহারার উপর সেদিন থাকবে মলিনতা।
تَرۡهَقُہَا قَتَرَۃٌ ﴿ؕ۴۱﴾
কালিমা সেগুলোকে আচ্ছন্ন করবে।
اُولٰٓئِکَ هُمُ الۡکَفَرَۃُ الۡفَجَرَۃُ ﴿٪۴۲﴾
তারাই কাফির, পাপাচারী।