78

আন নাবা

আয়াত সংখ্যা 40

0.00

3:00

عَمَّ یَتَسَآءَلُوۡنَ ۚ﴿۱﴾

লোকেরা কোন বিষয়ে একে অন্যের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করছে?


عَنِ النَّبَاِ الۡعَظِیۡمِ ۙ﴿۲﴾

সেই মহাসংবাদ বিষয়ে,


الَّذِیۡ هُمۡ فِیۡہِ مُخۡتَلِفُوۡنَ ؕ﴿۳﴾

যে বিষয়ে তাদের মধ্যে মতানৈক্য আছে।


کَلَّا سَیَعۡلَمُوۡنَ ۙ﴿۴﴾

কখনো না, অচিরেই তারা জানতে পারবে।


ثُمَّ کَلَّا سَیَعۡلَمُوۡنَ ﴿۵﴾

তারপর কখনো না, তারা অচিরেই জানতে পারবে।


اَلَمۡ نَجۡعَلِ الۡاَرۡضَ مِہٰدًا ۙ﴿۶﴾

আমি কি বানাইনি যমীনকে শয্যা?


وَّ الۡجِبَالَ اَوۡتَادًا ﴿۪ۙ۷﴾

আর পর্বতসমূহকে পেরেক?


وَّ خَلَقۡنٰکُمۡ اَزۡوَاجًا ۙ﴿۸﴾

আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায়।


وَّ جَعَلۡنَا نَوۡمَکُمۡ سُبَاتًا ۙ﴿۹﴾

আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে করেছি বিশ্রাম।


وَّ جَعَلۡنَا الَّیۡلَ لِبَاسًا ﴿ۙ۱۰﴾

আর আমি রাতকে করেছি আবরণ।


وَّ جَعَلۡنَا النَّہَارَ مَعَاشًا ﴿۪۱۱﴾

আর আমি দিনকে করেছি জীবিকার্জনের সময়।


وَّ بَنَیۡنَا فَوۡقَکُمۡ سَبۡعًا شِدَادًا ﴿ۙ۱۲﴾

আর আমি তোমাদের উপরে বানিয়েছি সাতটি সুদৃঢ় আকাশ।


وَّ جَعَلۡنَا سِرَاجًا وَّهَّاجًا ﴿۪ۙ۱۳﴾

আর আমি সৃষ্টি করেছি উজ্জ্বল একটি প্রদীপ।


وَّ اَنۡزَلۡنَا مِنَ الۡمُعۡصِرٰتِ مَآءً ثَجَّاجًا ﴿ۙ۱۴﴾

আর আমি মেঘমালা থেকে প্রচুর পানি বর্ষণ করেছি।


لِّنُخۡرِجَ بِہٖ حَبًّا وَّ نَبَاتًا ﴿ۙ۱۵﴾

যাতে তা দিয়ে আমি শস্য ও উদ্ভিদ উৎপন্ন করতে পারি।


وَّ جَنّٰتٍ اَلۡفَافًا ﴿ؕ۱۶﴾

আর ঘন উদ্যানসমূহ।


اِنَّ یَوۡمَ الۡفَصۡلِ کَانَ مِیۡقَاتًا ﴿ۙ۱۷﴾

নিশ্চয় ফয়সালার দিন নির্ধারিত আছে।


یَّوۡمَ یُنۡفَخُ فِی الصُّوۡرِ فَتَاۡتُوۡنَ اَفۡوَاجًا ﴿ۙ۱۸﴾

সেদিন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন তোমরা দলে দলে আসবে।


وَّ فُتِحَتِ السَّمَآءُ فَکَانَتۡ اَبۡوَابًا ﴿ۙ۱۹﴾

আকাশ খুলে দেয়া হবে আর তাতে হবে অনেক দরজা।


وَّ سُیِّرَتِ الۡجِبَالُ فَکَانَتۡ سَرَابًا ﴿ؕ۲۰﴾

আর পর্বতগুলোকে করা হবে চলমান, ফলে তা নিছক মরীচিকায় পরিণত হবে।


اِنَّ جَہَنَّمَ کَانَتۡ مِرۡصَادًا ﴿۪ۙ۲۱﴾

নিশ্চয় জাহান্নাম গোপন ফাঁদ।


لِّلطَّاغِیۡنَ مَاٰبًا ﴿ۙ۲۲﴾

সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য প্রত্যাবর্তন স্থল।


لّٰبِثِیۡنَ فِیۡہَاۤ اَحۡقَابًا ﴿ۚ۲۳﴾

সেখানে তারা যুগ যুগ ধরে অবস্থান করবে।


لَا یَذُوۡقُوۡنَ فِیۡہَا بَرۡدًا وَّ لَا شَرَابًا ﴿ۙ۲۴﴾

সেখানে তারা কোন শীতলতা আস্বাদন করবে না এবং না কোন পানীয়।


اِلَّا حَمِیۡمًا وَّ غَسَّاقًا ﴿ۙ۲۵﴾

ফুটন্ত পানি ও পুঁজ ছাড়া।


جَزَآءً وِّفَاقًا ﴿ؕ۲۶﴾

উপযুক্ত প্রতিফলস্বরূপ।


اِنَّہُمۡ کَانُوۡا لَا یَرۡجُوۡنَ حِسَابًا ﴿ۙ۲۷﴾

নিশ্চয় তারা হিসাবের আশা করত না।


وَّ کَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِنَا کِذَّابًا ﴿ؕ۲۸﴾

আর তারা আমার আয়াতসমূহকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছিল।


وَ کُلَّ شَیۡءٍ اَحۡصَیۡنٰہُ کِتٰبًا ﴿ۙ۲۹﴾

আর সব কিছুই আমি লিখিতভাবে সংরক্ষণ করেছি।


فَذُوۡقُوۡا فَلَنۡ نَّزِیۡدَکُمۡ اِلَّا عَذَابًا ﴿٪۳۰﴾

সুতরাং তোমরা স্বাদ গ্রহণ কর। আর আমি তো কেবল তোমাদের আযাবই বৃদ্ধি করব।


اِنَّ لِلۡمُتَّقِیۡنَ مَفَازًا ﴿ۙ۳۱﴾

নিশ্চয় মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে সফলতা।


حَدَآئِقَ وَ اَعۡنَابًا ﴿ۙ۳۲﴾

উদ্যানসমূহ ও আঙ্গুরসমূহ।


وَّکَوَاعِبَ اَتۡرَابًا ﴿ۙ۳۳﴾

আর সমবয়স্কা উদ্‌ভিন্ন যৌবনা তরুণী।


وَّ کَاۡسًا دِهَاقًا ﴿ؕ۳۴﴾

আর পরিপূর্ণ পানপাত্র।


لَا یَسۡمَعُوۡنَ فِیۡہَا لَغۡوًا وَّ لَا کِذّٰبًا ﴿ۚ۳۵﴾

তারা সেখানে কোন অসার ও মিথ্যা কথা শুনবে না।


جَزَآءً مِّنۡ رَّبِّکَ عَطَآءً حِسَابًا ﴿ۙ۳۶﴾

তোমার রবের পক্ষ থেকে প্রতিফল, যথোচিত দানস্বরূপ।


رَّبِّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا بَیۡنَہُمَا الرَّحۡمٰنِ لَا یَمۡلِکُوۡنَ مِنۡہُ خِطَابًا ﴿ۚ۳۷﴾

যিনি আসমানসমূহ, যমীন ও এতদোভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর রব, পরম করুণাময়। তারা তাঁর সামনে কথা বলার সামর্থ্য রাখবে না।


یَوۡمَ یَقُوۡمُ الرُّوۡحُ وَ الۡمَلٰٓئِکَۃُ صَفًّا ؕ٭ۙ لَّا یَتَکَلَّمُوۡنَ اِلَّا مَنۡ اَذِنَ لَہُ الرَّحۡمٰنُ وَ قَالَ صَوَابًا ﴿۳۸﴾

সেদিন রূহ* ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে, যাকে পরম করুণাময় অনুমতি দেবেন সে ছাড়া অন্যরা কোন কথা বলবে না। আর সে সঠিক কথাই বলবে।


ذٰلِکَ الۡیَوۡمُ الۡحَقُّ ۚ فَمَنۡ شَآءَ اتَّخَذَ اِلٰی رَبِّہٖ مَاٰبًا ﴿۳۹﴾

ঐ দিনটি সত্য। অতএব যে চায়, সে তার রবের নিকট আশ্রয় গ্রহণ করুক।


اِنَّاۤ اَنۡذَرۡنٰکُمۡ عَذَابًا قَرِیۡبًا ۬ۚۖ یَّوۡمَ یَنۡظُرُ الۡمَرۡءُ مَا قَدَّمَتۡ یَدٰہُ وَ یَقُوۡلُ الۡکٰفِرُ یٰلَیۡتَنِیۡ کُنۡتُ تُرٰبًا ﴿٪۴۰﴾

নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে একটি নিকটবর্তী আযাব সম্পর্কে সতর্ক করলাম। যেদিন মানুষ দেখতে পাবে, তার দু’হাত কী অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং কাফির বলবে ‘হায়, আমি যদি মাটি হতাম’!