89

আল ফাজ্‌র

আয়াত সংখ্যা 30

0.00

2:03

وَ الۡفَجۡرِ ۙ﴿۱﴾

কসম ভোরবেলার।


وَ لَیَالٍ عَشۡرٍ ۙ﴿۲﴾

কসম দশ রাতের।


وَّ الشَّفۡعِ وَ الۡوَتۡرِ ۙ﴿۳﴾

কসম জোড় ও বিজোড়ের।


وَ الَّیۡلِ اِذَا یَسۡرِ ۚ﴿۴﴾

কসম রাতের, যখন তা বিদায় নেয়।


هَلۡ فِیۡ ذٰلِکَ قَسَمٌ لِّذِیۡ حِجۡرٍ ؕ﴿۵﴾

এর মধ্যে কি বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তির জন্য কসম আছে?


اَلَمۡ تَرَ کَیۡفَ فَعَلَ رَبُّکَ بِعَادٍ ۪ۙ﴿۶﴾

তুমি কি দেখনি তোমার রব কিরূপ আচরণ করেছেন ‘আদ জাতির সাথে?


اِرَمَ ذَاتِ الۡعِمَادِ ۪ۙ﴿۷﴾

ইরাম গোত্রের সাথে, যারা ছিল সুউচ্চ স্তম্ভের অধিকারী?


الَّتِیۡ لَمۡ یُخۡلَقۡ مِثۡلُہَا فِی الۡبِلَادِ ۪ۙ﴿۸﴾

যার সমতুল্য কোন দেশে সৃষ্টি করা হয়নি।


وَ ثَمُوۡدَ الَّذِیۡنَ جَابُوا الصَّخۡرَ بِالۡوَادِ ۪ۙ﴿۹﴾

আর সামূদ সম্প্রদায়, যারা উপত্যকায় পাথর কেটে বাড়ি ঘর নির্মাণ করেছিল?


وَ فِرۡعَوۡنَ ذِی الۡاَوۡتَادِ ﴿۪ۙ۱۰﴾

আর ফির‘আউন, সেনাছাউনীর অধিপতি?


الَّذِیۡنَ طَغَوۡا فِی الۡبِلَادِ ﴿۪ۙ۱۱﴾

যারা সকল দেশে সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।


فَاَکۡثَرُوۡا فِیۡہَا الۡفَسَادَ ﴿۪ۙ۱۲﴾

অতঃপর তারা সেখানে বিপর্যয় বাড়িয়ে দিয়েছিল।


فَصَبَّ عَلَیۡہِمۡ رَبُّکَ سَوۡطَ عَذَابٍ ﴿ۚۙ۱۳﴾

ফলে তোমার রব তাদের উপর আযাবের কশাঘাত মারলেন।


اِنَّ رَبَّکَ لَبِالۡمِرۡصَادِ ﴿ؕ۱۴﴾

নিশ্চয় তোমার রব ঘাঁটিতেই।


فَاَمَّا الۡاِنۡسَانُ اِذَا مَا ابۡتَلٰىہُ رَبُّہٗ فَاَکۡرَمَہٗ وَ نَعَّمَہٗ ۬ۙ فَیَقُوۡلُ رَبِّیۡۤ اَکۡرَمَنِ ﴿ؕ۱۵﴾

আর মানুষ তো এমন যে, যখন তার রব তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর তাকে সম্মান দান করেন এবং অনুগ্রহ প্রদান করেন, তখন সে বলে, ‘আমার রব আমাকে সম্মানিত করেছেন।


وَ اَمَّاۤ اِذَا مَا ابۡتَلٰىہُ فَقَدَرَ عَلَیۡہِ رِزۡقَہٗ ۬ۙ فَیَقُوۡلُ رَبِّیۡۤ اَهَانَنِ ﴿ۚ۱۶﴾

আর যখন তিনি তাকে পরীক্ষা করেন এবং তার উপর তার রিয্ককে সঙ্কুচিত করে দেন, তখন সে বলে, ‘আমার রব আমাকে অপমানিত করেছেন’।


کَلَّا بَلۡ لَّا تُکۡرِمُوۡنَ الۡیَتِیۡمَ ﴿ۙ۱۷﴾

কখনো নয়, বরং তোমরা ইয়াতীমদের দয়া-অনুগ্রহ প্রদর্শন কর না।


وَ لَا تَحٰٓضُّوۡنَ عَلٰی طَعَامِ الۡمِسۡکِیۡنِ ﴿ۙ۱۸﴾

আর তোমরা মিসকীনদের খাদ্যদানে পরষ্পরকে উৎসাহিত কর না।


وَ تَاۡکُلُوۡنَ التُّرَاثَ اَکۡلًا لَّمًّا ﴿ۙ۱۹﴾

আর তোমরা উত্তরাধিকারের সম্পত্তি সম্পূর্ণরূপে ভক্ষণ কর।


وَّ تُحِبُّوۡنَ الۡمَالَ حُبًّا جَمًّا ﴿ؕ۲۰﴾

আর তোমরা ধন-সম্পদকে অতিশয় ভালবাস।


کَلَّاۤ اِذَا دُکَّتِ الۡاَرۡضُ دَکًّا دَکًّا ﴿ۙ۲۱﴾

কখনো নয়, যখন যমীনকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা হবে পরিপূর্ণভাবে।


وَّ جَآءَ رَبُّکَ وَ الۡمَلَکُ صَفًّا صَفًّا ﴿ۚ۲۲﴾

আর তোমার রব ও ফেরেশতাগণ উপস্থিত হবেন সারিবদ্ধভাবে


وَ جِایۡٓءَ یَوۡمَئِذٍۭ بِجَہَنَّمَ ۬ۙ یَوۡمَئِذٍ یَّتَذَکَّرُ الۡاِنۡسَانُ وَ اَنّٰی لَہُ الذِّکۡرٰی ﴿ؕ۲۳﴾

আর সেদিন জাহান্নামকে উপস্থিত করা হবে, সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু সেই স্মরণ তার কী উপকারে আসবে?


یَقُوۡلُ یٰلَیۡتَنِیۡ قَدَّمۡتُ لِحَیَاتِیۡ ﴿ۚ۲۴﴾

সে বলবে, ‘হায়! যদি আমি কিছু আগে পাঠাতাম আমার এ জীবনের জন্য’!


فَیَوۡمَئِذٍ لَّا یُعَذِّبُ عَذَابَہٗۤ اَحَدٌ ﴿ۙ۲۵﴾

অতঃপর সেদিন তাঁর আযাবের মত আযাব কেউ দিতে পারবে না।


وَّ لَا یُوۡثِقُ وَ ثَاقَہٗۤ اَحَدٌ ﴿ؕ۲۶﴾

আর কেউ তাঁর বাঁধার মত বাঁধতে পারবে না


یٰۤاَیَّتُہَا النَّفۡسُ الۡمُطۡمَئِنَّۃُ ﴿٭ۖ۲۷﴾

হে প্রশান্ত আত্মা!


ارۡجِعِیۡۤ اِلٰی رَبِّکِ رَاضِیَۃً مَّرۡضِیَّۃً ﴿ۚ۲۸﴾

তুমি ফিরে এসো তোমার রবের প্রতি সন্তুষ্টচিত্তে, সন্তোষভাজন হয়ে।


فَادۡخُلِیۡ فِیۡ عِبٰدِیۡ ﴿ۙ۲۹﴾

অতঃপর আমার বান্দাদের মধ্যে শামিল হয়ে যাও।


وَ ادۡخُلِیۡ جَنَّتِیۡ ﴿٪۳۰﴾

আর প্রবেশ কর আমার জান্নাতে।